GANDERBAL TERROR ATTACK

গান্ডেরবাল নাশকতায় নিহতের শেষকৃত্যে উপমুখ্যমন্ত্রী

জাতীয়

গান্ডেরবাল নাশকতায় নিহত শশী আবরলের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মঙ্গলবার। শোকার্ত পরিজনরা জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডে ভেসে যাওয়ার মুখে গোটা পরিবার।
জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডেরবালে সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে মোট সাত নির্মাণকর্মী। একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে কাজ করছিলেন সবাই। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন শশী আবরল।
জম্মুতে মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দেন সদ্য আসীন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুরিন্দর কুমার চৌধুরী। সাংসদ যুগল কিশোরও ছিলেন শেষকৃত্যে।
নিহত শশী আবরলের স্ত্রী রুচি সংবাদমাধ্যমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের পরিবারের সব আশা ভেঙে গিয়েছে। রোজগারের কোনও ব্যবস্থা খুব জরুরি। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালাবো কী করে জানি না। একটি চাকরি খুব জরুরি।’’
আবরলের পুত্র ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্র। কন্যার বয়স তিন। 
জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট হয়েছে দশ বছর পর। সদ্য শপথ নিয়েছে নতুন নির্বাচিত সরকার। পরপর দু’টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে শোপিয়ান এবং গান্ডেরবালে। তীব্র নিন্দা করেছে সব অংশ। নির্মম নাশকতার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিধায়ক ইউসুফ তারিগামি। 
উপমুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী বলেছেন, ‘‘সরকার পরিবারের জন্য যত দূর সম্ভব করবে।’’
শশী আবরল ছিলেন পেশায় স্থপতিবিদ। এই সুড়ঙ্গের বরাত পেয়েছিল উত্তর প্রদেশের এপিসিও সংস্থা। সেখানেই কর্মরত ছিলেন তিনি। 
নাশকতায় নিহত হয়েছে স্থানীয় এক চিকিৎসকও। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বাইরের রাজ্যের শ্রমিকরা।   
জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা কেড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। তারপর থেকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে। কেন্দ্র নিযুক্ত উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা সন্ত্রাসবাদ রোধী যৌথ অভিযানে জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন সুরক্ষা বাহিনীকে। নাশকতা হয়েছে যেখানে, সেই গগনগির গ্রামে গিয়েছেন সিন্‌হা।

Comments :0

Login to leave a comment