DOCTORS FAST TILL DEATH

অনশনে চিকিৎসকরা, হেলদোল নেই সরকারের

কলকাতা

ধর্মতলায় অনশনরত চিকিৎসকদের পাশে জনতা। ছবি: দিলীপ সেন

রাজ্য সরকার দাবি না মানলে কাজে যোগ দিয়েই চলবে অনশন। শেষ দেখে ছাড়ব। রবিবারও এই ঘোষণা শোনা গিয়েছে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে।
আমরণ অনশনে এদিনই শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সিনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। সমাজের সব অংশকে বিচারের দাবিতে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে যৌথ মঞ্চ।
এদিন ধর্মতলায় বিভিন্ন অংশের মানুষই সংহতি জানিয়ে শামিল হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে।   
রবিবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ যখন মঞ্চের সামনের বোর্ডে লিখে দেওয়া হলো- ‘অনশনের ২০ ঘন্টা’। তখন মঞ্চের ঘেরাটোপের বাইরে অসংখ্য মানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত আরও একবার একযোগে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’- ধ্বনিতে। 
শনিবার রাত থেকেই ডোরিনা ক্রসিং-এ চিকিৎসকদের হাত শক্ত করতে যে মানুষের উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল, রবিবার তার দ্বিগুণ-তিনগুণ মানুষের উপস্থিতি দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চ চত্ত্বরে। শনিবার রাত থেকেই জুনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মুহূর্মুহূ স্লোগানে উত্তাল হয়েছে ধর্মতলা এলাকা। পুলিশ ডেকরেটরদের দিয়ে মঞ্চের জন্য আনা চৌকি বা অন্য সরঞ্জাম সরিয়ে দিয়েছিল। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও চলছে অনশন। ডাঃ মানস গুমটা, ডাঃ তমোনাশ চৌধুরী, ডাঃ নারায়ণ ব্যানার্জি সহ সিনিয়র চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন এদিন। 
এদিকে আমরণ অনশনে থেকে ধীরে ধীরে ৬ জুনিয়র ডাক্তারের শরীর অনেকটাই এলিয়ে পড়েছে। শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে কয়েকজনের  ব্লাড প্রেসারেরও কমে গেছে। আন্দোলনকারী অন্যান্য চিকিৎসকদের বক্তব্য, ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলে অনশনকারীদের সুগার লেভেল কমে যাবে যা মারাত্মক হতে পারে শরীরের পক্ষে, এছাড়া মাথার যন্ত্রণাও শুরু হবে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে। যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাহলে দায় নিতে হবে সরকারকে। 
কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফার দাবির ক্ষেত্রে কোনো উচ্চবাচ্যই নেই রাজ্য সরকারের। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, মমতা ব্যানার্জির সরকার অভয়ার বিচার চেয়েও সুপ্রিম কোর্টে অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী দাঁড় করিয়েছে। আবার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি দাওয়াও মানছে না। এই যে ১০ দফা দাবি তোলা হয়েছে তা সাধারণ মানুষেরই দাবি।

Comments :0

Login to leave a comment