স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে তিন মাসের শিশুকন্যাকে নদীর জলে নিক্ষেপ করলো বাবা। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে মন্তেশ্বর থানার শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পানবরেয়া গ্রামে। শিশুর দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা চালায় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। পানবরেয়া গ্রামবাসীরা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে এক দল আদিবাসী খেতমজুর সুধাকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ধান কাটতে আসে। জেসাই মুরমু নামের এক যুবকও এই দলে ছিল। প্রতিবছর এই যুবক তার স্ত্রী সুনিতা হেমরমকেই সাথে নিয়ে আসে। কিন্তু এবার স্ত্রীর বদলে রশমি মারান্ডি নামের এক মহিলাকে সাথে নিয়ে আসে। এই খবর দমকাতে স্ত্রীর কানে পৌঁছাতে সে তিন মাসের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে পানবরেয়া গ্রামে মঙ্গলবার হাজির হয়। পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়া স্বামীর সঙ্গে মঙ্গলবার সুনিতার ব্যাপক বাকবিতন্ডা হয়। বুধবার সকালে স্বামীর কাছে শিশুকন্যাকে রেখে প্রাতঃকর্ম করতে যায়। সেই ফাঁকে ওই আদিবাসী যুবক শিশুকন্যাকে গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বয়ে চলা খড়ি নদীতে নিক্ষেপ করে ফিরে আসে। সুনিতা প্রাতঃকর্ম থেকে ফিরে এসে শিশু কন্যার খোঁজ শুরু করে। বিষয়টি গ্রামবাসীদেরও নজরে আসতেই ওই আদিবাসী যুবককে তারা চাপ দিতে শুরু করে। সেই চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সে স্বীকার করে শিশু কন্যাকে নদীতে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরেই ওই আদিবাসী যুবকের স্ত্রী সুনিতা হেমরম মন্তেশ্বর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। অন্যদিকে এক মৎস্য শিকারী খড়ি নদীতে মাছ ধরছিলেন। তার জালে ওই শিশুটি উঠলে, পরে আবার শিশুটিকে নদীর জলেই ভাসিয়ে দেয়। খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৎস্যজীবীদের জলে নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জেসাই মুরমু ও রশমি মারান্ডিকে গ্রেপ্তার করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
Monteswar
স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া, মন্তেশ্বরে তিন মাসের শিশুকে নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলল বাবা
×
Comments :0