এবারের বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করল ফ্রান্স। ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে। জোড়া গোল করে নায়ক কিলিয়ান এমবাপে। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি অপ্রতিরোধ্য। বিশ্ব ফুটবল নতুন মহানায়ক পেয়ে গেছে। ডেনমার্ক এক গোল শোধ করলেও লাভ হয়নি কিছুই। চলতি বিশ্বকাপে জয়হীন ডেনমার্ক।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ার পর ফ্রান্স যে খেলাটা খেলেছিল, ডেনমার্কের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ফ্রান্সের খেলায় সেই ছন্দ-গতি ছিল না। ফ্রান্সের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, ডেনমার্ককে যেন তাঁরা বাড়তি সমীহ করছে। যেহেতু, শেষ দুই ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে হেরেছিল। এদিন ফিনিশিংয়ে সমস্যা প্রকট হয়েছে তাঁদের। ১৩ বার ড্যানিশ রক্ষণে গোলের লক্ষ্যে হানা দিয়েছিল ফরাসিরা। কিন্তু গোলমুখ খুলতে পারেনি।
ফ্রান্সের খেলার স্টিয়ারিং ছিল উসমান ডেম্বলের হাতে। উইং নির্ভর ফুটবল খেলছিল লা ব্লুজরা। দুই প্রান্তে দু’জন গতিময় ফুটবলার থাকার জন্যই। মিডফিল্ডারই হোক ডিফেন্ডার। যিনিই বল পাচ্ছিলেন ডান প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ডেম্বেলের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছেন। ডেম্বলের কাজ হল, ডিফেন্ডারদের ড্রিবল করে নিখুঁত ক্রস রাখা। তিনি যথারীতি নিজের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমবাপে ও জিরু দু’জনই হাফচান্স থেকে কনভার্ট করতে পারেননি। তবে ২২ মিনিটে গ্রিজম্যানের ফ্রিকিক থেকে হেডে প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন র্যাবিও। দুরন্ত সেভ করে দলের পতন রোধ করেন কাস্পার স্কিমিশেল।
প্রথম ৪৫ মিনিট ডেনমার্ক খুব একটা ভালো খেলতে পারেননি। তাঁরা নিজেদের রক্ষণেই ব্যস্ত ছিল। আক্রমণে যে ক’বার গিয়েছে, রাফায়েল ভারান ওপামেকানো সমৃদ্ধ ডিফেন্সের কাছে আটকে গিয়েছে।
সুযোগ নষ্ট করা এমবাপে দ্বিতীয়ার্ধে একক দক্ষতায় খেলা বদলে দিলেন। করিম বেঞ্জেমা না থাকায় তাঁর কাঁধে বাড়তি দায়িত্ব ছিল। শক্ত প্রতিপক্ষ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে চাপের মুখে জোড়া গোল করে বুঝিয়ে দিলেন, দায়িত্ব নিতে তৈরি তিনি। আগের চেয়ে পরিণত তিনি, সেটা তাঁর দু’টি গোল দেখলেই বোঝা যাবে। ম্যাচের ৬০ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। লুকাস হার্নান্ডেজের পাস থেকে।
ড্যানিশরা ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ৬৮ মিনিটে বার্সা ডিফেন্ডার ডেনমার্কের হয়ে গোল করেন। গোল খেয়ে যাওয়ায় জয়সূচক গোলের খোঁজে মরিয়া হয়ে ঝাঁপান গ্রিজম্যানরা। চুয়োমিনির হেড জোয়াকিম মাহেলের গায়ে লেগে বাইরে যায়। তারপরই, গ্রিজম্যানের সেন্টার থেকে ওঁত পাতা শিকারীর মতো বাঁদিক থেকে ঢুকে ৮৬ মিনিটে ২-১ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে এক গোল করেছিলেন, ড্যানিশদের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে এনার ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে সোনার বুটের দৌড়ে এমবাপে। একইসঙ্গে ফ্রান্স কিংবদন্তি জাঁ ফতে’কে পেরিয়ে গেলেন। ফ্রান্সের জার্সি গায়ে ৩২ গোলের মালিক দশ নম্বর জার্সিধারী।
Comments :0