‘ফিরে আসব’ জানিয়েই ন্যু ক্যাম্প ছাড়লেন পিকে। আলমেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষবার বার্সার হয়ে খেললেন। এদিন অধিনায়কের ব্যান্ডও ছিল তাঁর হাতেই। একটানা ১৫ মরশুম ক্লাবের রক্ষণ সামলানোর পরে নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচে ৮৩ মিনিটের মাথায় তাঁকে তুলে নেন জাভি। সম্ভবত মানসিক আবেগকে সামাল দিতেই। ম্যাচের পরে চোখে জল। সতীর্থরা কাঁধে তুলে নেন। ম্যাচ শেষ হলেও দর্শকরা মাঠ ছাড়েননি। পিকে যখন হাত নাড়ছেন, গ্যালারি থেকে আওয়াজ উঠেছে ‘প্রেসিদেন্তে’। বার্সার প্রেসিডেন্ট হয়ে কোনও এক সময় পিকে ক্লাবে ফিরবেন, এমন গুঞ্জন কয়েকদিন ধরেই রয়েছে। সমর্থকরা যে তা-ই চান, এদিন স্পষ্ট হয়ে গেছে।
পিকে নিজেও বলেছেন, ফিরে আসব। আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরব। যখন বয়স বাড়ে তখন মাঝে মাঝে বোঝা যায় জায়গা ছাড়াই ভালোবাসা। আমি বার্সাকে ভালোবাসি বলেই এই সময়ে সরে যাওয়া ঠিক মনে করেছি।
প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন সতীর্থরা। বুসকেটস এদিনও খেলেন তাঁর পাশে। পরে বলেন, পিকে যেভাবে বার্সাকে অনুভব করে তা আর কেউ করে না। ম্যাচ থেকে অনুশীলন, সবেতেই ও পুরো মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছে। বার্সার প্লেয়ার কেমন হবে, জেরার্ড তার উদাহরণ। পেপ গুয়ারদিঅলা অনেকদিন পিকে’র কোচ ছিলেন। বলেছেন, ব্যক্তিত্বই বিরাট। ও বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। প্রত্যেক বড় দলের এমন একজন খেলোয়াড় লাগে। জাভি বলেছেন, পিকে সর্বকালের সেরা সেন্টার ব্যাকদের একজন। ওকে সমর্থকরা ভালোবাসে। ওর জন্য ওর বিদায়ের রাতও এমন যাদুময় হয়ে উঠল।
পিকে বার্সার হয়ে খেলেছেন ৬৬৭ টি ম্যাচ। তাঁর আগে শুধু রয়েছেন মেসি ( ৭৭৮), জাভি (৬৬৭), বুসকেটস (৬৯৪), ইনিয়েস্তা (৬৭৪)।
Comments :0