চলেছে দীর্ঘ আন্দোলন। শেষ পর্যন্ত খুলল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের পৃথক ভবন। যেখানে রয়েছে এমন সরঞ্জাম যা কাজে লাগিয়ে পড়াশোনায় সুবিধা হয় প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের।
১৬ জানুয়ারি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ড. চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এবং সেন্টারের আহ্বায়ক ড. স্নেহমঞ্জু বসুর উপস্থিতিতে পড়ুয়াদের জন্য এই ভবনের দরজা খুলে দেওয়া হয়। প্রতিবন্ধী পড়ুয়াদের এই আন্দোলনের প্রথম থেকেই তাদের পাশে ছিলেন প্রতিবন্ধী আন্দোলনের কর্মীরা। বিশেষ চাহিদাম্পন্ন অংশের উচ্চশিক্ষার প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত শম্পা সেনগুপ্তও ছিলেন এই আন্দোলনে। তিনিও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
ইউজিসি’র অর্থে তৈরি প্রতিবন্ধীদের জন্য এই ভবন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও রয়েছে। অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছিলেন যাদবপুরেরই এক অধ্যাপক। ‘ফোরাম ফর স্টুডেন্টস উইথ ডিসেবিলিটিজ’-এর অভিযোগ ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মনজিৎ মণ্ডল আটকে রেখেছিলেন ভবন।
ফোরাম জানাচ্ছে, গত পাঁচ বছর ধরে লাগাতার আন্দোলন চলেছে। তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি, এই ভবন সহ প্রতিবন্ধীদের জন্য কেনা সমস্ত সরঞ্জাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর ডিসেবিলিটিজ’-এর হাতে তুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর করতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।
গত ৩ জানুয়ারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিন, নীরব প্রতিবাদে অংশ নেন প্রতিবন্ধী পড়ুয়ারা। তাঁদের সেদিনের প্রতিবাদের পরেই গত ৯ জানুয়ারি পরিচালন সমিতির বৈঠক থেকে ভবন ‘সেন্টার ফর ডিসএবিলিটিজ’-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Comments :0