মঙ্গলবার মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, আরএসপি’র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য প্রমুখ। অংশ নিয়েছে বামফ্রন্টের বাইরের গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিও।
নওাসাদ সিদ্দিকী জেলে কেন, মিছিলে উঠেছে স্লোগান। আবার মিছিলই দিয়েছে জবাব। স্লোগানে, প্ল্যাকার্ডে, ব্যানারে ফুটে উঠেছে জবাব। বিধানসভায় তৃণমূল এবং বিজেপি’র বিরোধী একমাত্র স্বর দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল সরকার ঠিক তাই করছে, আরএসএস-বিজেপি যা চায়।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিজেপি'র বিধায়ক, বিরোধী দলনেতাকে, আড়াল করছেন।
একদিকে আদানির কেলেঙ্কারি আরেক দিকে ‘জিট্টি ভাইয়ের’ কেলেঙ্কারি। আসলে মানুষের সম্পদ লুট হচ্ছে। লুট করছে দুই দলই, বিজেপি আর তৃণমূল।
২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের হাতিশালায় হামলা হয়েছিল নওসাদেরই ওপর। আইএসএফ সমর্থকদের ওপর। দায়ী তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, বুক ফুলিয়ে যাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। আর নিজের দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আক্রান্ত বিধায়ক জেলে। ধর্মতলায় মিছিলের সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে জেলে, নতুন নতুন অভিযোগ খুঁজে বের করছে পুলিশ। চেষ্টা হচ্ছে বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানোর।
এরা যে গণতন্ত্রকে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে আর কিভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে তার আরেকটি নিদর্শন নওাসাদ সিদ্দিকীর জেল। মিছিল বলেছে, ষড়যন্ত্রের এই চেহারা রাজ্যের মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে, হবেও।
এই মিছিল হয়েছে নাগরিক অধিকারের সুরক্ষার দাবিতেও। বলেছে বামফ্রন্ট। এই মিছিল রাজ্যের প্রত্যেকের, যাঁরা দুর্নীতি-দুষ্কৃতী রাজের বিপক্ষে, যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে। যাঁরা গণতন্ত্রের পক্ষে, নাগরিক অধিকারের পক্ষে।
রামলীলা ময়দান থেকে এই মিছিল গিয়েছে রানী রাসমণি রোডে প্রতিবাদের স্বর জোরালো করে।
Comments :0