MD SALIM RALLY IN KAMALGAZI

বামপন্থীদের পাশে মানুষ
তাই কেন্দ্রীয় দলের তৎপরতা

রাজ্য জেলা

CPIM LEFT FRONT WEST BENGAL PANCHAYAT ELECTION TMC CORRUPTION BENGALI NEWS

পশ্চিম বাংলা সফরে এসে সবার আগে অমিত শাহ জিজ্ঞেস করছেন, এ রাজ্যে এত লালঝান্ডা কোথা থেকে আসছে? যখন বুঝছে গ্রামের মানুষ ফের বামপন্থীদের ভরসা করতে শুরু করছেন, তখনই নজর ঘোরানোর জন্য কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার কামালগাজীতে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

সেলিম বলেন, কেন্দ্রীয় তৎপরতার পিছনে আসল কারণ হলো এরাজ্যের বুকে বামপন্থীদের নতুন করে উত্থান। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য তো ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ লাগে। ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁরা এতদিন কেন সব কিছু দেখেও চুপ ছিল। তদন্তকারী দল পাঠাতে ৮ বছর লাগে? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে গ্রামের মানুষ পথে নেমেছেন। কিছুদিনের মধ্যে শহুরে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়েও মানুষ সরব হবেন। পথে নামবেন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

সেলিম এদিন বলেন, ‘‘পশ্চিম বাংলা থেকে বামপন্থীদের হঠাতে আরএসএস মমতা ব্যানার্জিকে টেন্ডার দিয়েছিল। আর মমতা ব্যানার্জি মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীদের সিপিআই(এম) খতম অভিযানের সাব টেন্ডার দিয়েছিল। সেই টেন্ডারের  জোরে বরকতি, সিদ্দিকুল্লা, জামাত, হেফাজত, মাওবাদীদের এক জায়গায় এনেছিল তৃণমূল। আর এদের টাকার জোগান দিয়েছিল দেশ বিদেশের পুঁজিপতিরা। এরা এমন একটা ভাব করত যেন এ রাজ্যের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের ঠেকা এরা একা নিয়ে রেখেছে। অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না। বললেই হয় আনিস খানের মতো খুন করে দেবে, নইলে নওসাদ সিদ্দিকির মতো জেলে পুরবে। কিন্তু মানুষের আন্দোলন সেই মৌরসিপাট্টা ভাঙে দিয়েছে।’’

এরসঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‘রাজ্যের অপশাসনের মূল নায়িকাকে নবান্নের ১৪ তলা থেকে টেনে নামানোর জন্য কোনও ৫৬ কিংবা ৩৫৬’র প্রয়োজন নেই। এরাজ্যের মানুষই তার জন্য যথেষ্ট। গ্রামে গ্রামে সেই প্রস্তুতির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু শহরও এই কাজে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়।’’

সেলিম এদিন বলেছেন, ‘‘২০১৬ সালে নোটবন্দীর নামে ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার কোমর ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদী তখন বলেছিল, নোটবন্দী হলে কালো টাকা কমবে, সন্ত্রাসবাদ খতম করা যাবে। তখন যদি সমস্ত কালো টাকা ধ্বংস হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে এরাজ্যে দফায় দফায় এত লুকোনো টাকা বেরোচ্ছে কোথা থেকে? এগুলো তো সব নতুন নোট।’’

Comments :0

Login to leave a comment