Minakshi Mukherjee

মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা যাবে না কলতানকে : মীনাক্ষী

রাজ্য

চোপড়ায় মীনাক্ষী মুখার্জি।

মামলা করে, জেলে আটকে কলতান দাশগুপ্তদের আটকে রাখা যাবে না।’ বুধবার চোপড়ার প্রতিবাদ সভা থেকে একথা বলেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মিনাক্ষী মুখার্জি।

আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে এবং যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত’র জামিনের দাবিতে প্রতিবাদ সভ চলছে রাজ্য জুড়ে। এদিন চোপড়ায় সেই সভায় বক্তা হিসাবে ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। 

তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের বুকে চোপড়া এমন একটা নাম যেখানে শুধু আমাদের কর্মীদের উপরে নয় সাধারণ মানুষের উপরও আক্রমণ নেমে আসে  গুন্ডা ,ফেনসিডিল পাচার করা লোক, অবৈধ অস্ত্র পাচার করা চক্র, নারী পাচার চক্র- এদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ যখন প্রতিবাদ করে তাদের উপরে এরা আক্রমণ করে। এতদিন যেটা চোপড়ায় ছিল সেটা এখন সারা রাজ্যে চালু হয়ে গেছে। চোপড়ার মানুষকে প্রতিবাদী হতে হবে -রাস্তায় নামতে হবে। সবকিছু ছেড়ে চোপড়ার মানুষকে রাস্তার মাটি কামড়ে করে থাকতে হবে।’’ 

মীনাক্ষী বলেন, ‘‘মনসুরকে খুন করেছে ওরা। এতদিন আমরা মেশিনের নাম জেসিবি শুনেছি কিন্তু চোপড়াতেও মানুষের নাম জেসিবি। ’’ তিনি বলেন, ‘‘মনসুর যেদিন খুন হল, সেদিন একজনের বাড়ির ছাদ থেকে অটোমেটিক রাইফেলের থেকে গুলি গিয়ে মনসুরকে ঝাঁঝরা করে দিল, সেদিন ওই ছাদে রাইফেলটা কী করে গেল। তার লাইসেন্স ছিল তো। আপনি এ নিয়ে আওয়াজ তুলুন আপনার নামে গাঁজা কেস দেবে।পুলিশের কাছে কি বস্তা ভর্তি গাজা রাখা আছে? এখানে আপনারা যদি না থাকতেন আমি এখানে এসে ফাঁকা জায়গায় সভা করলে পুলিশ আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই পুরিয়া গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে বলতো মীনাক্ষী এখানে গাঁজা বিক্রি করতে এসেছে। পুলিশ  না অপরাধের বিরুদ্ধে, না অপরাধীর বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রশাসনের এই ভূমিকার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।’’

তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে আমরা বাঁচার জন্য যাই। সেখানেই একজন চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করে দিল। যেখানে সাধারণ মানুষের আনাগোনা নিয়ন্ত্রিত, সেখানে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার রাত্রি তিনটের সময় সেখানে পৌঁছায় কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে। তাকে অনুমতি দিল কে। জেসিবি, আরজিকর আলাদা নয়।’’ 

তিনি ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা যাওয়ার আহ্বান রেখে বলেন, ‘‘যেদিন চোপড়া কলকাতার দখল নেবে সেদিন সরকারকে সময় হুনতে হবে।’’
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের নন্দীগছ বাজারে ও চোপড়া বিদ্রোহী মোড়ে তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে ও যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের মুক্তির দাবিতে পথসভায় বক্তব্য রাখেন মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও অপূর্ব প্রামানিক, সুপ্রীতি ঘোষ মজুমদার, ইন্দ্রজিৎ বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

Comments :0

Login to leave a comment