SFI

মরিয়া চেষ্টা প্রশাসনের, বাঁধা পেরিয়ে বিধানসভা গেটে এসএফআই

রাজ্য

মিছিল করতে দেবে না। সকাল থেকে এই মানসিকতা নিয়েই। শিয়াদহ এবং হাওড়া স্টেশনে ‘জমায়েত’ করে পুলিশ। শুধু পুলিশ নয় তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী। শিয়াদহ এবং হাওড়া স্টেশন থেকে এসএফআইয়ের দুটি মিছিল ধর্মতলা হয়ে বিধানসভা যাওয়ার কথা ছিল। সেই মিছিল আটকাতে মিরিয়া প্রশাসন। মহিলা সুরক্ষার জন্য তৈরি কলকাতা পুলিশের বিশেষ মহিলা বাহিনী ‘উইনার্স’।

হাওড়া স্টেশনে এসএফআই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাস এবং  দীপ্সিতা ধরের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হলে আচমকা গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সকাল থেকেই হাওড়া স্টেশন এবং ব্রীজে বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শিয়ালদহতেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। মিছিল শুরু হওয়ার আগেই শিয়ালদহ বিগ বাজারের সমানে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাঞ্জন দে এবং মহম্মদ আতিফ নিসার। টেঁনে হিঁচড়ে তাদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

সকাল থেকে পুলিশের গাজেয়ারি দেখে এসএফআই নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছিল যে কোন পরিস্থিতিতে তারা বিধানসভা অভিযান করবেই। তারা তাদের কথা রেখেছে। 

বেলা ১:০৮। ময়ুখ বিশ্বাস, দীপ্সিতা ধরদের নেতৃত্বে শুরু হলো মিছিল। মিছিল থেকে গ্রেপ্তার এসএফআই সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।

বেলা ১:১৫। শিয়াদহের আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে এসএফআই কর্মীদের একটি বিশাল মিছিল প্রতীকুর রহমানের নেতৃত্বে বাইরে আসে। পুলিশ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ছাত্রদের জেদের কাছে তুচ্ছ পুলিশি বাঁধা। পুলিশকে সরিয়ে দিয়েই মিছিল কলেজ স্ট্রিট হয়ে পৌঁছায় সেন্ট্রান অ্যাভিনিউ। সেখানেই শেষ হয় মিছিল।

 

যখন মিছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে শেষ হলো তখন বিধানসভার সমানে পৌঁছে গিয়েছেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সহ একাধিক এসএফআই কর্মীরা। কর্মসূচি বিধানসভা অভিযান। সেই কর্মসূচি সফল করলো এসএফআই। কড়া পুলিশি নিরাপত্তাকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে বিধানসভার গেটে উঠে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্র ছাত্রীরা। এসএফআইয়ের এই কর্মসূচির জন্য কোন অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। ছাত্র নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা বিধানসভায় যাবেন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে, রাজ্যে আট হাজারের বেশি স্কুল তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে, আনিসে খানে খুনিদের শাস্তির দাবিতে। সেই কথা তারা রেখেছেন।

 

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মিছিল থামিয়ে দিয়ে এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমান বলেন, ‘‘বলেছিল মিছিল করতে দেবে না। ওদের অনুমতির পরোয়া করেছে কে? আমরা মিছিল করব বলেছিলাম, করেছি।’’

 

  

Comments :0

Login to leave a comment