‘স্কুল বাঁচাও, মূল বাঁচাও’ এই স্লোগান তুলে বুধবার সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজের গেটের সামনে থেকে শুরু হয় এসএফআই কলকাতা জেলার ডাকে ডিআই অফিস অভিযান। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করে মিছিলে পা মিলিয়েছেন এসএফআই কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের আট হাজারের বেশি স্কুলকে রুগ্ন বলে আদালতে জানিয়েছে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার বেশ কয়েকটি স্কুল। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত শিক্ষা নীতিকে মেনে নিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের সময় তৈরি হওয়া অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছে তৃণমূল সরকার।
রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চন্দননগরে রাজ্য স্কুল ছাত্র কনভেনশন করেছে এসএফআই।
এসএফআই কলকাতা জেলার সভাপতি দেবাঞ্জন দে বলেন, ‘‘নাগপুরের প্রেসক্রিপশান মেনে নয়া শিক্ষা নীতি চালু করতে চাইছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। সাধারণ গরীব ছাত্র ছাত্রীরা যাতে শিক্ষার আঙিনা থেকে না বেরিয়ে যায় তার জন্য আমাদের এই অভিযান।’’
শুধু সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা বাঁচানো নয়, মিড-ডে-মিল, শিক্ষক নিয়োগ সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে যেই দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধেও এই মিছিল থেকে আওয়াজ তোলা হয়েছে।
সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করার জন্য লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার। কণ্যাশ্রী, সবুজ সাথীর কথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায়। কিন্তু তাঁর সরকার যে কম্পোজিট গ্রান্ট কমিয়ে দিয়েছে। মিড-ডে-মিলে ডিম না দিয়ে ৬০০ কোটি টাকা ‘বাঁচিয়েছে’ সেই বিষয় তিনি কোন কথা বলেন না।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বেহাল দশা নিয়ে বার বার পথে নেমেছে এসএফআই। আক্রমণও হয়েছে। এদিনের কর্মসূচি তাদের লাগাতার আন্দোলনের অংশ বলেই দাবি করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
মিছিল বিজন সেতু হয়ে কসবায় ডিআই অফিসের সামনে এলে রাস্তায় সংক্ষিপ্ত সভা করা হয় এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে। কলকাতা জেলার সম্পাদক মহম্মদ আতিফ নিসার এবং সভাপতি দেবাঞ্জন দে ডিআই অফিসে আধিকারিকের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি জমা করেন। স্কুল শিক্ষা বাঁচাতে এসএফআইয়ের যেই দাবি তা তুলে ধরা হয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।
Comments :0