দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। তারপরেই শুরু হয়েছে এবিভিপির সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলিতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখাচ্ছে এবিভিপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মিরান্ডা হাউস কলেজ, অদিতি মহাবিদ্যালয়ের মতো ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এবিভিপি’র পুরুষ গুন্ডারা চড়াও হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে বুধবার এক প্রেস বিবৃতি জারি করল এসএফআই।
এসএফআই জানিয়েছে, বিগত তিন বছর ধরে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ চালালেও, ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যূনতম প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি এবিভিপি। ছাত্র সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাঁরা। এই অবস্থায় নির্বাচনে জিততে সন্ত্রাসের আবহ তৈরির পথে হাঁটছে এবিভিপি।
এসএফআইয়ের অভিযোগ, দিল্লির মিরান্ডা হাউস কলেজ, অদিতি মহাবিদ্যালয়ের মতো ছাত্রীদের কলেজে দিনের আলোয় ঢুকে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছে এবিভিপি কর্মীরা। এছাড়াও রামানুজন কলেজ, জাকির হোসেন কলেজেও বলপূর্বক ঢুকে পড়ুয়াদের হেনস্থা করেছে এবিভিপি। এই কলেজগুলির কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবিভিপি’র বহিরাগতরা। বহু ক্ষেত্রে, কলেজগুলির অশিক্ষক কর্মচারীদের একটা অংশ এই কাজে তাদের সহায়তা করেছে। যদিও প্রতিক্ষেত্রেই কলেজের পড়ুয়াদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে চম্পট দিতে হয়েছে এবিভিপি’র বাহিনীকে।
এসএফআই’র অভিযোগ, এগুলি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ কলেজ ফর উইমেন্সের কলেজ ফেস্ট চলাকালীন ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছিল এবিভিপি আশ্রিত বহিরাগতরা। ছাত্রীদের কটুক্তি এবং পুরুষতান্ত্রিক মন্তব্য করতেও শোনা যায় তাদের। এই ঘটনার বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ কিংবা দিল্লী পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং প্রতিবাদীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এসএফআই জানাচ্ছে, ইন্দ্রপ্রস্থ কলেজ ফর উইমেন্সের পাশাপাশি মিরান্ডা হাউস এবং গার্গী কলেজেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে এবিভিপি। প্রতিক্ষেত্রেই চুপ থেকেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন।
এই প্রসঙ্গে এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানাচ্ছেন, দিল্লির অন্যান্য কলেজের পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কলেজগুলিতেও এসএফআই’র জনসমর্থন বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলিতে জনসমর্থন খুইয়েছে এবিভিপি। সেই আক্রোশ থেকে ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করা শুরু হয়েছে।
বিশ্বাস আরও বলেন, পশ্চিম বাংলার কলেজে কলেজে টিএমসিপি আশ্রিত বহিরাগতরা যা করে থাকে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়তেও একই কাজ করতে চাইছে এবিভিপি। কিন্তু ছাত্র সমাজ এটা মেনে নেবেনা।
ইতিমধ্যেই দিল্লির ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই কর্মীরা। বুধবার এসএফআই’র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটির তরফে এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
Comments :0