নয়া শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবিতে লেক মলের সামনে থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটি। ছাত্র ছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল চারুচন্দ্র কলেজ হয়ে হাজরা মোড়ের আশুতোষ কলেজের সামনে এসে পৌঁছালে আচমকা আক্রমণ করে পুলিশ। এসএফআই কর্মী সমর্থকদের দাবি পুলিশের সাথে সিভিল ড্রেসে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীও আক্রমণ চালায়। বিনা কারণে কয়েকজন ছাত্রকে আটকে করলেও প্রিজন ভ্যানের দরজা ভেঙে তারা বেরিয়ে আসেন।
এসএফআই কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাজ্ঞন দে জানিয়েছেন, মিছিলে থাকা ছাত্রীদের রাস্তায় ফেলে মারা হয়। কোন মহিলা পুলিশ সেই সময় ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন ভয় পেয়ে গিয়েছে। তারা ভেবেছিল ছাত্র ছাত্রীরা হাজরা থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে রাজ্যের সব থেকে বড় পকেটমারের বাড়ির সামনে চলে যেতে পারে। তাই নিজেদের বাঁচাতে বিনা কারণে এই আক্রমণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে কলেজে কলেজে যেই পকেটমাররা রয়েছে তারা সবাই উড়ে যাবে।’’
মিছিল আটকানো নিয়ে প্রশাসনের যুক্তি ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে তারা মিছিল আটকায়। কিন্তু যেই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেই এলাকা পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি প্রশাসন দিল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে যে, শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকানোর জন, বিপুল পুলিশ কেন মোতায়েন করা হলো, কেনই বা প্রিজন ভ্যান রাখা হলো সেখানে?
এসএফআইয়ের দাবি তারা কোন আইন অমান্যে যায়নি। তারা কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবিতে মিছিলের ডাক দিয়েছিল। উল্লেখ্য মুখে জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধীতা করলেও রাজ্য নয়া শিক্ষা নীতি চালু করার ব্যবস্থা করেছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। ইতিমধ্যে ইউজিসি গাইড লাইন মেনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এসএফআইয়ের নেতৃত্বের দাবি রাজ্যের তৃণমূল সরকার বিজেজির এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে, এবং নাগপুরের কথা অনুযায়ী তারা নয়া শিক্ষা নীতি রাজ্য চালু করছে।
তবে পুলিশ এবং তৃণমূলের আক্রমণের মোকাবিলা করেই মিছিলের পর বিক্ষোভ সভা হয়েছে হাজরা মোড়ে। সেই সভায় বক্তব্য রাখেন এসএফআই কলকাতা জেলা নেতৃত্ব।
Comments :0