চক্রবর্তী বলেন, ৭০০ দিনের বেশি সময় ধরে ধর্মতলায় চাকরির দাবিতে অবস্থান চালাচ্ছেন মেধাবী ছেলেমেয়েরা। আগে রাজ্য রাজনীতির মূল চর্চার বিষয় ছিল উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুগুলি। আর এখন কার আলমারি থেকে ৫০ কোটি টাকা বেরোলো, আর কার খাটের তলা থেকে ১৮ কোটি সেই নিয়ে চর্চা চলছে।
নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ইডি এবং সিবিআই তদন্ত চালিয়েই যাচ্ছে। শেষ আর হচ্ছে না। কিন্তু কেলেঙ্কারির আসল পান্ডাদের এখনও তদন্তের আওতায় আনা হয়নি। আমরা বলছি আসল মাথাকে ধরুন। খুচরো দলপতিদের না ধরে আসল দলপতি, যিনি কালীঘাটে বসে আছেন, তাঁকে ধরুন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বাসস্থানের ঠিকানা ব্যবহার করে দু’নম্বরি জমি কিনছেন তাঁর ভাইয়ের বউ। একই ঠিকানা সোনা পাচার কান্ডের তদন্তেও উঠে এসেছিল। এর আগে এরাজ্যের মানুষ কখনও এগুলি দেখেছেন? গত ১০ বছর ধরে তৃণমূল একটা লুঠেরা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। রাজ্যে কাজ নেই, কর্মসংস্থান নেই, রাজ্যের মানুষের হাতে টাকা নেই। তাহলে তৃণমূলের চার আনার নেতা থেকে শুরু করে রাঘব বোয়ালদের হাতে এত টাকা আসছে কোথা থেকে?
সুজন চক্রবর্তী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এটা ২০১৮ সাল নয়। গায়ের জোরে, ভয় দেখিয়ে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল সুবিধা করতে পারবে না। তৃণমূল নিজে সেটা বুঝতে পেরেছে। আর পেরেছে বলেই বামপন্থী কর্মী সহ নওসাদ সিদ্দিকির মতো বিরোধী বিধায়ককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জব্দ করতে চাইছে। কিন্তু এর প্রতিবাদে বামপন্থীরা রাস্তায় থাকবেন। মঙ্গলবার নওসাদের মুক্তির দাবিতে কলকাতায় মিছিল হবে। বুধবার ভাঙড়ে মিছিল হবে, সভা হবে। পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করলে ভালো। নইলে তাঁদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মানুষ কর্মসূচি পালন করবেন।
Comments :0