নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রথম থেকেই সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে। নানা ভাবে ধারাবাহিক অপপ্রচার চালানো হয়েছে তাঁদের নামে। বামফ্রন্ট সরকারের সময়কাল নিয়েও নানা ধরণের আজগুবি কথা বলা হয়েছে নিয়মিত ভাবে। কিন্তু তাতে কোনও ফলই হয়নি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রচার গ্রহণ করেননি রাজ্যের মানুষ। কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে ফের শুরু হয়েছে সেই অপপ্রচার। কিন্তু এগুলো করে কোনও লাভ নেই। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই বলেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।
চক্রবর্তী বলেন, এই অপপ্রচার করে তৃণমূল আসলে মূল বিষয় থেকে নজর ঘোরাতে চাইছে। সরকারি চাকরি বিক্রির সংগঠিত অপরাধ চক্র তৈরি হয়েছে তৃণমূল সরকারের সময়কালে। ২০১১ সালের পরে কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় স্বচ্ছ নিয়োগ হয়নি। সেই সংক্রান্ত অভিযোগে বামপন্থীরা, বিশেষত সিপিআই(এম) দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় রয়েছেন। তাঁরা জনমত তৈরি করেছেন। একইসঙ্গে আদালতও নিয়োগ দুর্নীতির প্রশ্নে কঠোর ভূমিকা নিয়েছে। তারফলে এই দুর্নীতি চক্রের মূল মাথারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এবং সেই ক্ষোভ এবং শঙ্কা থেকেই সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কুরুচিকর প্রচার শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল অবধি প্রায় প্রতি বছর নিয়মিত ভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে। রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়ারা নিজেদের যোগ্যতায় সরকারি চাকরি পেয়েছেন সেই প্রক্রিয়ায়। বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে সময়মতো নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হত। বছরের শুরুতে সারা বছরের পরীক্ষার ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করা হত। কিন্তু তৃণমূলের সময়কালে গোটাটাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালের নিয়োগ এখনও সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রতি ক্ষেত্রে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি বিক্রির অভিযোগ।
Comments :0