একটি সমাবেশ হয় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বনগাঁর গোপালনগরে। অপরটি হয় হাবড়া ১নং ব্লক এলাকার লক্ষ্মীপুল মোড়ে। দু’টি সভাতেই প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য কমিটির সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। বনগাঁর গোপালনগরে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব, জেলা সভাপতি সফিকুল সর্দারসহ যুব নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন রাতুল তরফদার। হাবড়ার লক্ষ্মীপুলের সভায় বক্তব্য রাখেন যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত, আশরাফুল আমিন, দেবাশিস দাসও। এখানে সভাপতিত্ব করেন দীপঙ্কর বণিক।
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, আজকের এই সভা কেবলমাত্র ডিওয়াইএফআই’র ডাকে। বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির সভা নয়। এখানেই দশ হাজারের উপর মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। অথচ বনগাঁর পুলিশ প্রশাসন বলেছিল হাজার-বারোশো লোক হবে। ওদের কাজই হলো তৃণমূলের তাঁবেদারি করা। আমরা আজ বাংলার যুবশক্তি বলতে চাই, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্ত পঞ্চায়েতের সমস্ত বুথে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবেন, কারও ক্ষমতা নেই তাঁদের আটকাবে।
তিনি বলেন, কিছু মানুষ যারা মানুষকে কাজ দিতে পারে না, চাকরি দিতে পারে না, তারাই জাত-পাতে আমাদেরকে ভাগ করছে। সার কোম্পানির গুলো নির্দিষ্ট দামের থেকে অতিরিক্ত দাম নিয়ে কৃষকের কাছে সার কীটনাশক বিক্রি করছে। উল্টোদিকে কৃষক তার ফসলের দাম পাচ্ছে না। তৃণমূলের শাসনে অযোগ্য লোকেরা সরকারি চাকরি করবে আর যোগ্যরা রাজপথে বসে থাকবে। আর তাদেরকে দলদাস পুলিশ দিয়ে মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেবে। অথচ এই পুলিশের দায়িত্ব কালোবাজারি বন্ধ করা, মহিলাদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়া।
হাবড়ারয় কলতান দাশগুপ্ত বলেন, তৃণমূল আর চোর এ রাজ্যে সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। আবাস দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, যারা টাকা নিয়েছেন ফেরত দেন ভালো। তা না হলে জনগনই ওই নেতাদের বাড়ি থেকে ইট খুলে এনে বিক্রি করে দেবে। হাবড়ার সভাতেও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ ছিলেন।
Comments :0