এবার বীনেশ ফোগট, সাক্ষী মালিকরা পাশে পেলেন বিশ্ব কুস্তির নিয়ামক সংস্থা ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিংকে। সংস্থার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের সাথে আচরণের নিন্দা করেছে এবং ২৮ মে দিল্লি পুলিশ যেভাবে তাদের আটক করেছে তার নিন্দা করেছে।
কুস্তি সংস্থা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে ‘রবিবার যেভাবে কুস্তিগিরদের মারধর করে আটক করা হয়েছে, তাদের ধরনাস্থল থেকে উচ্ছেদ করেছে আধিকারিকরা, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’ কয়েকদিনের মধ্যেই কুস্তিগিরদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সেই সঙ্গেই ফেডারেশনকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নিয়ামক সংস্থার তরফে। ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সাধারণ সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দেন অভিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ। ৪৫দিনের মধ্যেই এই সভা আয়োজিত হবে বলেই জানানো হয়। কিন্তু সেই সভা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এহেন পরিস্থিতিতে নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, এই সভা না হলে ভারতীয় ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করা হবে। ফলে চলতি বছরের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও ভারত থেকে সরিয়ে অন্যত্র আয়োজন করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবারের ঘটনার নিন্দা করে সোমবার বিকালে টুইট করেন অনিল কুম্বলে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক লেখেন, ‘গত রবিবার (২৮ মে) কুস্তিগিরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা ঠিক নয়। কথা বলে সব কিছুর সুরাহা সম্ভব। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংও এদিন বলেন, ‘সাক্ষীরা দেশের গর্ব। তাঁদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে দেখে কষ্ট হচ্ছে। আশা করব ওরা বিচার পাবে।’
প্রাক্তন ক্রিকেটাররা প্রতিবাদে মুখ খুললেও রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো এখনকার ক্রিকেটাররা এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। রবিবার গোভির রাতে শেষ হয় ভারতীয় ক্রিকেটের সবথেকে বড় প্রদর্শনী আইপিএল। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ট্রফি জেতে চেন্নাই। সোমবার সকালে ধোনিকে শুভেচ্ছা জানান সাক্ষী মালিক। সাক্ষী টুইটে লেখেন, ‘শুভেচ্ছা এমএস ধোনিজি ও সিএসকে। আমরা খুশি যে, অন্তত কিছু ক্রীড়াব্যক্তিত্ব তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ও ভালোবাসা পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের জন্য সুবিচারের লড়াই এখনও চলছে।’
কপিল দেব, বীরেন্দ্র সেওয়াগ, ইরফান পাঠান বা অনিল কুম্বলে হরভজন সিং সবাই প্রাক্তন ক্রিকেটার। একমাত্র বর্তমান ক্রিকেটার হিসাবে মুখ খুলেছেন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য শিখা পান্ডে। তিনি নিজের টুইটে লিখেছিলেন, ‘কুস্তি করতে অনেক শক্তি লাগে। কিন্তু কথা বলার জন্য বেশি শক্তি লাগে। আমি আশা করি এবং প্রার্থনা করি যে শীঘ্রই ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে।’
ভারতের ক্রীড়াঙ্গনে এতবড় ঘটনার পরও কেন চুপ ক্রিকেট মহল? একটা শব্দও কেন খরচ করতে পারছেন না শচীন তেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা? কীসের ভয় চুপ থাকতে হচ্ছে? নাকি পুরোটাই শিড়দাঁড়া থাকা না থাকার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় খেলার ‘আইকন’ ক্রিকেট মহলের চুপ থাকা নিয়ে।
Comments :0