প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও উরুগুয়ের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিল দক্ষিণ কোরিয়া। তারফলে গোলশূন্য ড্র হল এই ম্যাচ। বৃহষ্পতিবার এইচ গ্রুপের এই দুই দল মুখোমুখি হয়ে কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে।
দুই অর্ধ মিলিয়ে উরুগুয়েকে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। মাঝমাঠের দখল পালটা দখল চলতে থাকে সারা ম্যাচ জুড়ে।
পরিসংখ্যানের নিরিখে এদিন বল দখলের হারে সামান্য এগিয়ে ছিল উরুগুয়ে। সারা ম্যাচে উরুগুয়ের বল দখলের হার ৫৬ শতাংশ। পাস খেলার নিরিখেও দুই দলের অবস্থান প্রায় সমান। চলতি বিশ্বকাপে সৌদি আরব এবং জাপানের কাছে হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানিকে। কিন্তু সেই দুটি ম্যাচেও ইউরোপ কিংবা লাতিন আমেরিকার দলের বিরুদ্ধে এই পরিমাণ কর্তৃত্ব নিয়ে খেলতে পারেনি এশীয় দল দুটি। । সেই দিক থেকে দেখলে বৃহষ্পতিবার অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন সন হিউয়েঙ-মিন’রা।
এদিন দুই দলই খুব কম গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে। উরুগুয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গোল লক্ষ করে ১০ শট নিলেও, একটিমাত্র শট গোলের কাছাকাছি পৌঁছয়। অপরদিকে উরুগুয়ের গোলমুখ লক্ষ করে ৭টি শট মেরেছে কোরিয়া, যারমধ্যে একটি শটও গোলে ছিল না। প্রথমার্ধে উরুগুয়ের তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়ার বল দখলের হার বেশি ছিল। দুইদলই মাটিতে বল রেখে খেলার চেষ্টা করে। প্রথমার্ধে উরুগুয়ের কোনও আক্রমণ দানা বাঁধার আগেই আটকা পড়ে কোরিয়ার মাঝমাঠ কিংবা রক্ষণভাগে। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ছক পরিবর্তন করেন উরুগুয়ের কোচ দিয়োগো গোডিন । মাটিতে ছোট পাসের পাশাপাশি লংবল খেলতে শুরু করেন সুয়ারেজরা। তরপরেই বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পায় উরুগুয়ে।
এরইমধ্যে ৬৪ মিনিট নাগাদ সুয়ারেজের পরিবর্তে কাভানিকে মাঠে নামান গোডিন । তারপর উরুগুয়ের মাঝমাঠ সচল হয়। খেলার গতি মন্থর করে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেন ভালভার্দিরা। এরইমাঝে ৮৮ মিনিট নাগাদ ভালভার্দির একটি শট পোস্টে লাগে। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়াও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে।
Comments :0