Malbazar Gang Raped

দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে মালবাজারে গ্রেপ্তার পাঁচ

রাজ্য জেলা

ফের এক দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা রাজ্যে! বর্ধমান, বীরভূমের পর এবার মালবাজার থানা এলাকায়। আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা শুধু এরাজ্যের মধ্যেই এখন আর আটকে নেই। গোটা দেশে তোলপাড় হচ্ছে আর জি করের নৃশংস ঘটনা। কলকাতা ছাড়িয়ে জেলা শহর, মফস্বল, গ্রাম গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে হত্যকারীদের বিচারের দাবি। রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে, বিদেশেও স্লোগান উঠেছে, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তার মধ্যেই ফের উত্তরবঙ্গে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে মালবাজার থানার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিচারক তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, মালবাজার থানা এলাকার এক বছর চব্বিশের যুবতী গত সোমবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। বান্ধবীর দুই বন্ধু তাদের সাথে দেখা করতে আসলে ওই যুবতীর বান্ধবী এক বন্ধুর সাথে চলে যায়। ওই বন্ধুর সাথে থাকা অপর সঙ্গী মেয়েটির সঙ্গে থেকে যায়। এরই মধ্যে ওই এলাকায় তৃতীয় আরও এক যুবক এসে উপস্থিত হয়। দ্বিতীয় বন্ধুর  বাইকে তেল না থাকায়  উপস্থিত দুই যুবক বাইকের তেল আনতে অন্যত্র যান। 
সেই সময় দাঁড়িয়ে থাকা তৃতীয় যুবক ওই যুবতীর কাছে ফিরে আসে। এরপর ঠান্ডা পানীয় খাওয়ালে যুবতী অচৈতন্য হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখেন তাঁর সামনে দুই যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করতে থাকে বলে অভিযোগ নির্যাতিতির। এরপর নির্যাতিতি বাড়ি পৌঁছে সম্পূর্ণ ঘটনা পরিবারের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন। বুধবার গভীর রাতে মালবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এরপর মালবাজার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে। 
নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছে পুলিশ। দলবেঁধে ধর্ষণের পাশাপাশি ওই যুবতীর কাছে থাকা ১৮ হাজার টাকা নগদ, হাত ঘড়ি, সাথে থাকা একটি জামা হারিয়েছে বলেও জানা গেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজন যুবককে গ্রেফতার করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে মালবাজার থানার পুলিশ। 
জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতা কাজের জন্য সিকিমে থাকেন। সদ্যই ফিরে ছিলেন বাড়িতে। বাড়ি ফেরার পর পাঁচজন মিলে ওই যুবতীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ ঠান্ডা পানিও খাইয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। 
ঘটনা প্রসঙ্গে মালবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নিলেশ শ্রীকান্ত গায়কোয়ার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment