Panchayat Elections Violence

ভোটের দিনে প্রাণ হারালেন ১৬ জন

রাজ্য পঞ্চায়েত ২০২৩

Panchayat Polls 15 dead


পঞ্চায়েত ভোটের আগেই প্রচার পর্বে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন গোটা রাজ্যে। ভোট গ্রহণের দিন সকাল থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তথ্য বলছে সরা রাজ্যে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে। শুধু মাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। 

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম হিংসার জন্য দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনকে। তিনি বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মৃত্যুর দায়ও নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।


কাপাসডাঙায় বাবর আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিজের বাড়ির বাইরে খুন হয়েছেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বেলডাঙা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বহরমপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
খড়গ্রাম ও রেজিনগরে আরও দুই তৃণমূল কর্মী খুন হয় এদিন। লালগোলায় খুন হয়েছেন এক সিপিআই (এম) সমর্থক। জানা গেছে, লালগোলার একটি স্কুলের বুথে শাসকদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সিপিআই(এম)’র। ভোট দিতে এসে সেই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান রওশন আলি নামে ওই সিপিআই(এম)সমর্থক। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।


একই সময়ে উত্তপ্ত নওদাতেও প্রাণ হারান এক কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে কংগ্রেস কর্মীদের। গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিতে জখম হন ওই কংগ্রেস কর্মী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিন মালদা জেলার মানিকচক এলাকায় শেখ মালেক নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন।  তাঁকে মালদহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
কোচবিহারে বিজেপির এক পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে খুন করা হয়েছে। কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। অভিযোগ বিজেপির পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। 
দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকে যে বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন, এদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয় দিনহাটা হাসপাতালে। মৃতের নাম চিরঞ্জিত কার্জি।

শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন সিপিআই(এম) কর্মী রাজিবুল হক। প্রথমে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থার অবনতির হওয়ায় গভীর রাতে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় ৩২ বছর বয়সি রাজিবুলের। 
কাটোয়া মহকুমায় আরও এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেছে। কাটোয়া দু’নম্বর ব্লকের নন্দীগ্রামে তৃণমূল এজেন্টে গৌতম রায়ের সঙ্গে বচসা বাঁধে সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের। অভিযোগ তখন ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান গৌতমবাবু। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
নদিয়ার চাপড়ায় হামজার আলি হাসান (৫২) নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তখনই আচমকা অশান্তি শুরু হয়। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মীর। 
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমার আঘাতে প্রাণ হারান তৃণমূল কর্মী আনিসর ওস্তাগর। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।


তৃণমূলের এক নেতা খুন হয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখোরে। তাঁর নাম মহম্মদ সাহেনশা। গোয়ালপোখোর ২ নম্বর ব্লকের চাকুলিয়ার বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা ১০ নং বুথের ঘটনা। হেমতাবাদের এক যুবক নাম নারায়ন সরকার খুন হয়। বছর আটত্রিশের নারায়নের দেহ মেলে বাড়ির দু’কিলোমিটার দূরে পাট খেতের পাশ থেকে।
গোয়ালপোখরে। কুপিয়ে খুন করা হয় মহম্মদ জামিলুদ্দিন নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে। তিনি গোয়ালপোখরের জাগিরবস্তি এলাকার বাসিন্দা।
সারা দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। বুথে বুথে দেখা গেছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। খুন, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আগুনে প্রতিরোধের মধ্যেই এদিন সমাপ্ত হল ২০২৩শের পঞ্চায়েত ভোট। যদিও রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার দাবি করেছেন রাজ্যে ভোট সন্ত্রাসে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
জানা গেছে কুলতলির জালাবেরিয়ায় ভোট লুট করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী।


 


 

Comments :0

Login to leave a comment