Kumbha mela

কুম্ভে গুরুত্বহীন সাধারণ দর্শনার্থীরা, ভিআইপিদের জন্য বরাদ্দ ২৮টি অস্থায়ী ব্রিজ

জাতীয়

কুম্ভে সাধারণ দর্শনার্থীরা গুরুত্ব পায়নি যোগী সরকারের কছে। তাদের কাছে গুরত্ব পেয়েছেন ভিভিআইপি’রা অন্তত এমনটাই বলছেন আখড়ার সাধু থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে নদীর ওপর একাধিক অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করা হয়। যার মধ্যে ২৮টি অস্থায়ী ব্রিজ ছিল ভিআইপিদের জন্য। মাত্র একটি ছিল সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। যেই মানুষকে নিয়ে ধর্মের রাজনীতি করে বিজেপি আরএসএস সেই মানুষের জন্য বরাদ্দ অস্থায়ী ব্রিজের সংখ্যা মাত্র একটি। আর এই ভিআইপিদের তালিকায় নাম আছে রাজনাথ সিং, অমিত শাহদের মতো শীর্ষ বিজেপি নেতাদের।  
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর প্রেমানন্দ বলেন, ‘প্রশাসন ব্যাস্ত ছিল ভিআইপিদের জন্য। কুম্ভ মেলা, মেলা সংক্রান্ত কোন বিষয় তাদের নজর ছিল না। বার বার বলা হয়েছিল সেনার হাতে কুম্ভমেলা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু তারা তা করেনি। সেনার হাতে গোটা ব্যবস্থা থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’
জানা যাচ্ছে গতকাল বিকেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষনা করা হয় মৌনী অমাবস্যা শুরু হয়ে গিয়েছে, যার ফলে দর্শনার্থীদের মধ্যে স্নানের হুড়োহুড়ি তৈরি হয়। সেই সময় একটি মাত্র অস্থায়ী ব্রিজ দিয়ে যেতে গিয়ে বিপত্তি তৈরি হয়। পদপিষ্টের ঘটনার পর একাধিক দর্শনার্থী দায়ি করেছে প্রশাসনকে। তাদের কথায় প্রশাসন ব্যাস্ত থেকেছে কুম্ভমেলা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। বার বার প্রচার করা হয়েছে ৪৪ কোটি দর্শনার্থী কুম্ভ মেলায় এসেছেন, মৌনী অমাবস্যায় ১০ কোটি জনসমাগম হয়েছে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যেই ব্যবস্থার প্রয়োজন তা ছিল না বলেই দাবি করছেন কুম্ভে যাওয়া মানুষজন। হরিয়ানার কয়েকজন দর্শনার্থী জানিয়েছেন তিনদিন ঘুরে খোঁজ খবর নিয়েও সঙ্গম পর্যন্ত যেতে পারেননি তারা। 
সাধারণ দর্শনার্থীরা দাবি করছে কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে নিজেদের ঢাক পেটাতে গিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে মোদী এবং যোগী। যারা নিজেদের হিন্দু ধর্মের ধারক বাহক দাবি করে তাদের সময় কুম্ভমেলা এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি প্রমান করে দিচ্ছে প্রশাসনিক গাফিলতিকে।

Comments :0

Login to leave a comment