পৌর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে একসঙ্গে ৩২ জন পৌরকর্মীকে তলব করা হয়েছে। বরানগর পৌরসভার এই কর্মীদের তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। তলব করা হয়েছে একাধিক পৌরসভার শিক্ষক, ক্লার্ক এবং গাড়িচালকদেরও। তাঁদের ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার হদিস মেলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে। আদালতের নির্দেশে এই তদন্ত শুরু হয়। তবে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্তের ঢিমে গতির জন্য বিচারপতিদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই।

পৌর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর মধ্যেই বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, টিটাগড় ও উত্তর দমদম পৌরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। উত্তর ২৪ পরগনার জেলার একাধিক পৌরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে। এবার বরাহনগর পৌরসভার ৩২ জনকে একসঙ্গে তলব করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

সূত্রের খবর, পৌরকর্মী ও আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মূলত ২০১৪ সালের পর থেকে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানতে চাওয়া হবে, কোন কোন পদে নিয়োগ হয়েছে, কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে, কারও নির্দেশে নিয়োগ হয়েছিল কি না।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পৌরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির নথি পায় ইডি এবং সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পৌর দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর গত ২১ এপ্রিল পৌর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সেই তদন্ত করছে ইডিও। তদন্তের সূত্র ধরে এবার বরানগর পৌরসভার কর্মীদের তলব করল সিবিআই।

অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ, পছন্দের লোকজনকে নিয়োগ করে যোগ্যদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার একের পর এক অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন পৌরসভায়। কোনও কোণো চাকরিপ্রার্থী সরবও হয়েছেন। কিন্তু একের পর এক পৌরসভায় এমন বড় মাপের দুর্নীতির মাথা কারা, তদন্তে এখনও হদিস করতে পারেনি সিবিআই।