ECONOMY MODI REPORT

২ বছরে বন্ধ ৪০ হাজার ছোট কারখানা, ৭৭% ঘাটতি নিট বিদেশি বিনিয়োগে

জাতীয়

মাত্র দু’বছরে অর্থনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে প্রায় ৪০ হাজার কারখানা। সরকারকে কর দেয় এমন সংস্থার বিচার করে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে এপ্রিল থেকে তিন মাসে ৭৭ শতাংশ কমেছে নিট বিদেশি বিনিয়োগও।

অর্থনীতি নিয়ে এমন একাধিক তথ্য নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি’র প্রচারকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে ফের। সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘অত্যন্ত শক্তিশালী আর্থিক ভিতের ওপর দেশকে দাঁড় করিয়েছেন বলে প্রচারে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। তথ্য একেবারেই সেই দাবিতে সায় দিচ্ছে না।’’

কর দেয় এমন সংস্থার হিসেব জানাচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট ছিল ৮ লক্ষ ১৬ হাজার ২১টি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা নেমে হয়েছে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৪৬।

নিট বিদেশি বিনিয়োগের খাতাতেও অর্থনীতির পক্ষে সমস্যার ছবি স্পষ্ট। বিদেশি মোট বিনিয়োগ থেকে বিদেশে চলে যাওয়া বিনিয়োগ বাদ দিয়ে নিট বিদেশি বিনিয়োগ হিসেব করা হয়। 

সংবাদ প্রতিষ্ঠান বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’র একটি প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে যে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাস, এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে, নিট বিদেশি বিনিয়োগ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত বছরও ঠিক এই তিন মাসে নিট বিদেশি বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ১৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ৭৭ শতাংশ কমেছে নিট বিদেশি বিনিয়োগ। 

যে যে ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সঙ্কোচন দেখা গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কারখানা উৎপাদন ক্ষেত্রও। 

কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কেবল নিজের পছন্দের কয়েকজনের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ব্যস্ত। গুরুতর সঙ্কটের পরও তাঁর কোনও উদ্বেগ নেই।’’

রমেশের মত, ‘‘খুবই বড় মাপের কয়েকটি মাত্র ব্যবসায়িক সংস্থার বিপুল সমৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষের কাজ এবং রোজগারের জন্য অসংখ্যা ছোট ছোট ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানাই ভরসা। সেগুলি উঠে যাচ্ছে। যার অবধারিত ফল, বৈষম্য বাড়ছে দেশে।’’ 

ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারবিনিয়োগ করছে প্রয়োজনের অত্যন্ত কম। কাজ তৈরি করে এমন ক্ষেত্রে সরকারকে ব্যয় করতে হবে। মানুষের রোজগার বাড়ছে না বলে চাহিদা কমছে, বাজার ছোট হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ সরে যাচ্ছে।’’  

Comments :0

Login to leave a comment