বইমেলায় বাড়ছে স্টলের খরচ। ইলেকট্রিক সংযোগের জন্য নেওয়া হচ্ছে অধিক টাকা। গিল্ড ইচ্ছা করে অনেক প্রকাশককে ভিতরে দিকে স্টল দিয়েছে। যা পক্ষপাতমূলক।
বৃহস্পতিবার বইমেলায় সংবাদমাধ্যমে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, চেন্নাইয়ে ঠিক এই সময়ে বাংলাদেশ সহযোগী হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের স্টল থাকবে না কেন। তিনি বলেন, লিটল ম্যাগাজিন ও ছোট প্রকাশকদের জায়গা ছোট করে দেওয়া হচ্ছে। যারা ছবি আঁকেন, ছড়ার বই বিক্রি করেন, তাঁদের তাড়ানো হচ্ছে। গিল্ড আর কর্পোরেট এক হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে এটাই একটা কর্পোরেট সেক্টর।
বইমেলায় গেটের কাছে বড় বড় স্টল দেখা যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। অর্থের দাপট যে রয়েছে, স্পষ্ট গোটা বইমেলায়। বইমেলার উদ্দেশ্য যদিও ছিল মাঝারি এবং ছোট প্রকাশকদেরও পাঠক এবং আগ্রহীদের মধ্যে জায়গা করে দেওয়ার। ছোট স্টলের বিক্রেতা বইপত্র গাড়িতে নিয়ে গেলে তার জন্য দিতে হচ্ছে চড়া হারে পার্কিং ফি।
কলকাতায় পরিকল্পনাহীন নির্মাণ কাজের বিপদ সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের লেখা ‘মৃত্যুফাঁদের রোজনামচা’ এবং গণশক্তির সাংবাদিক চন্দন দাসের লেখা ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য: সেইসব জোয়ার ভাটায়’ এই বইদুটির এদিনই কলকাতা বইমেলায় প্রকাশ করেছেন মহম্মদ সেলিম। প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এক দশক সময়কাল সম্পর্কে সেলিম বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশাসনিক ভূমিকা বুঝতে সাহায্য করবে বইটি। চ্যালেঞ্জ রইলো এই শতাব্দীর প্রথম দশকের সঙ্গে পরবর্তী দশকের রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তুলনামূলক পর্যালোচনা হোক।
সপ্তর্ষি’র স্টলে এদিন ‘মৃত্যুফাঁদের রোজনামচা’ বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে সেলিম ছাড়াও ছিলেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রর্তী, লেখক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। যুবশক্তি পত্রিকার স্টলে অমর একুশে প্রকাশিত ‘বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য: সেইসব জোয়ার ভাটায়’ বইটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে ছিলেন ডিওয়াইএফআই’র রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, যুবশক্তির সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত, সাংবাদিক চন্দন দাস প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ :0