মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুয়ানতানামো বে’তে একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কিউবায় অবস্থিত মার্কিন নৌঘাঁটির এই কেন্দ্রটিতে ‘আমেরিকান জনগণকে হুমকি দেওয়া সবচেয়ে জঘন্য অপরাধী, অবৈধ বিদেশিদের’ রাখা হবে।
গুয়ানতানামো বে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে, এটি একটি পন্থা যা কিছু মানবাধিকার গোষ্ঠী দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।
পরে বুধবার ট্রাম্পের ‘সীমান্ত জার’ টম হোমান বলেন, সেখানে বিদ্যমান কাঠামোটি সম্প্রসারণ করা হবে এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) দ্বারা পরিচালিত হবে।
তিনি বলেন, মার্কিন কোস্টগার্ডের হাতে সমুদ্রে আটকানোর পর এসব অভিবাসীকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া যাবে এবং আটকের ‘সর্বোচ্চ’ দন্ড প্রয়োগ করা হবে।
এই সুবিধার জন্য কত খরচ হবে বা কবে নাগাদ এটি সম্পন্ন হবে তা স্পষ্ট নয়।
কিউবা সরকার দ্রুত এই পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘দখলকৃত’ জমিতে নির্যাতন ও অবৈধভাবে আটকে রাখার অভিযোগ এনেছে।
ট্রাম্প তথাকথিত লেকেন রাইলি অ্যাক্টকে আইনে স্বাক্ষর করার সময় এই ঘোষণা হয়েছিল, যার ফলে চুরি বা অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার হওয়া অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বিচারের জন্য কারাগারে রাখা প্রয়োজন।
গত বছর ভেনেজুয়েলার এক অভিবাসীর হাতে খুন হওয়া জর্জিয়ার নার্সিং শিক্ষার্থীর নামে নামকরণ করা বিলটি গত সপ্তাহে কংগ্রেসে অনুমোদিত হয়।
হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, গুয়ানতানামোর নতুন নির্বাহী আদেশে প্রতিরক্ষা ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগকে ৩০ হাজার শয্যার এই কেন্দ্রের ‘প্রস্তুতি শুরু করতে’ নির্দেশ দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের মতে, এই স্থাপনাটি অনথিভুক্ত অভিবাসীদের রাখার যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা দ্বিগুণ করবে।
যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে গুয়ানতানামো মাইগ্র্যান্ট অপারেশনস সেন্টার (জিএমওসি) নামে পরিচিত গুয়ানতানামোতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় প্রশাসনের মাধ্যমেই একটি সুবিধা ব্যবহার করছে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সহায়তা প্রকল্প (আইআরএপি) অভিযোগ করেছে, সরকার অভিবাসীদের সমুদ্রে আটক করে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে ‘অমানবিক’ পরিস্থিতিতে আটকে রেখেছে।
Comments :0