কুম্ভ মেলা প্রসঙ্গে কলকাতা বই মেলায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, যোগীরাজে বিনা কাগজপত্রে কুম্ভমেলায় মৃতের দেহ ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরাজ্যেও তা দেখা যাচ্ছে। পোস্টমর্টেমের দরকার নেই। কোনও হিসেবের দরকার নেই। প্রয়াগমেলায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে তার কোনও হিসেব নেই। এর আগে করোনার সময় দেখা গিয়েছে কত দেহ জলে ভাসানো হয়েছে তার হিসেব নেই। কেন্দ্র বা রাজ্যের তৃণমূল বা উত্তর প্রদেশ সরকার- কোথাও হিসেব নেই। সেলিম বলেন কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পর এই রাজ্য থেকে কাউকে পাঠায়নি রাজ্য সরকার। কুম্ভমেলা আগেও ছিল, গঙ্গাসাগর মেলা আগেও ছিল। এখন ধর্মকে আশ্রয় করে রাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধুদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যেদিন থেকে ছবি তুলতে শুরু করেছেন তখন থেকে হুজুগ তৈরি হয়েছে। উৎসাহ দিয়ে লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে না। 
কুম্ভ মেলায় কলকাতার বৃদ্ধার মৃত্যু নিয়ে এদিন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, কলকাতার যিনি মারা গেছেন তাঁর দেহ সম্ভবত আসছে। তবে বেওয়ারিস লসের মতো। কারণ ডের্থ সার্টিফিকেট দেয়নি উত্তর প্রদেশ সরকার এমনকি মৃতদেহের ময়নাতদন্তও করে নি উত্তর প্রদেশ সরকার। তিনি প্রশ্ন তোলেন যোগী আদিত্য নাথের সরকারের বিরুদ্ধে। বলেন, এতোগুলি মৃত্যুর দায় কে নেবে। যোগীর সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বলেছেন, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত রাজ্য সরকারের। তিনি দাবি করেন অবিলম্বে তা নিতে হবে এবং যোগী আদিত্য নাথকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় এতগুলি মৃত্যুর দায় নিতে হবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথকে।