মীর আফরোজ জামান- ঢাকা
সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেল-বিদ্যুৎ, সেচসহ কৃষি উপকরণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নির্ধারিত দামের চেয়ে কৃষকদের কাছ থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে ডিলার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। ভেজাল বীজ, সার, কীটনাশকেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। অপরদিকে কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত সব্জিসহ ফসলের দাম না পেয়ে জলের দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ, জীবন ধারণের মতো মজুরি ও খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই। কৃষি ঋণ, সার্টিফিকেট মামলা, এনজিও ঋণের কিস্তি, মহাজনী ঋণের সুদের কারবার কৃষক - ক্ষেতমজুরদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। কৃষক-ক্ষেতমজুরদের ন্যায্য দাবিতে আগামীতে দেশব্যাপী লড়াই সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক-ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন একথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির সভাপতি অ্যাড. এস এম এ সবুর, জাতীয় কৃষক-ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের নিখিল দাস, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা রাজু আহমেদ। সমাবেশে ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সভাপতি বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাতীয় কৃষক-ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল কবির জাহিদ, কৃষিক সমিতির সহ সভাপতি নিমাই গাঙ্গুলী, ক্ষেতমজুর সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষক ও ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের জীবন অতিষ্ট। কৃষকের ফসল সংরক্ষণের জন্য নেই পর্যাপ্ত শস্য গুদাম ও হিমাগার। ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কেন্দ্র না থাকায় কৃষক লাভজনক দাম না পেয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। ফলে লাভবান হচ্ছে ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ভূমি অফিস, তহসিল অফিস, সেটেলমেন্ট,পল্লী বিদ্যুৎ, সাব রেজিঃ অফিস, কৃষি ব্যাংক এবং ভিজিএফ, ভিজিডিসহ গ্রামীণ প্রকল্পসমূহে দুর্নীতি,দলীয়করণ,অনিয়ম, লুটপাট, হয়রানি গ্রামীণ মানুষের জীবনকে করে তুলেছে অসহনীয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, বর্ধিত ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, এনজিও এবং মহাজনী সুদের কারবার আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি করেন।
Comments :0