চিতোরগড়ের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠল। সংসদে দাঁড়িয়েই সতীমাহাত্ম্য প্রচার করেছেন সিপি যোশী।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ সূচক আলোচনা চলছে সংসদে। লোকসভায় ভাষণের মাঝে বিজেপি সাংসদ মেওয়ারের রানি পদ্মাবতীর প্রসঙ্গ তোলেন। যোশী বলেন যে আলাউদ্দিন খিলজির বাহিনীর থেকে বাঁচতে আগুনে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। মহান ঐতিহ্য বলে আখ্যাও দেন তিনি।
এরপরই আসন থেকে উঠে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন এনসিপি সংসদ সুপ্রিয়া সুলে, ডিএমকে’র কানিমোঝি, দয়ানিধি মারানের মতো সাংসদরা। তাঁরা বলতে থাকেন, ‘কুখ্যাত সতীপ্রথার মাহাত্ম্য প্রচার করছেন বিজেপি সাংসদ। লোকসভার কার্য বিবরণী থেকে সেই অংশ বাদ দেওয়ার দাবিও জানান।
সতীপ্রথায় হিন্দু মহিলাদের জীবিত অবস্থায় স্বামীর জ্বলন্ত চিতায় বসানো হতো। জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হতো। ১৮২৯ সালে রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলন তীব্র হওয়ায় এই প্রথা বাতিল হয়।
স্বাধীন ভারতে আশির দশকে রূপ কানোয়ার হত্যায় এই প্রথা অনুসরণ করা হয় রাজস্থানেই। তীব্র প্রতিবাদ হয় সারা দেশে। ফের আইনি বিধি চালু হয় জঘন্য এই প্রথার বিরুদ্ধে। উগ্র হিন্দুত্বাবদী অংশগুলি যদিও ‘সনাতন প্রথার’ নামে সামাজিক কুসংস্কার, অন্যায়কে ধর্মের মোড়কে আড়াল করতে বরাবরই ব্যস্ত থেকেছে।
যোশী যদিও পরে সংবাদমাধ্যমে বলেছেন যে নিজের বক্তব্যে তিনি অনড়।
Comments :0