MD SALIM DOMKOL

দেশে আগুন নেভাতেই লড়ছে বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস: সেলিম

রাজ্য জেলা লোকসভা ২০২৪

ডোমকলের মোমিনপুরে সভায় মহম্মদ সেলিম।

অনির্বাণ দে: ডোমকল

মহম্মদ সেলিমে কথা শোনার জন্য দুপুর থেকে অপেক্ষায় ছিলেন ডোমকল ব্লকের মোমিনপুর এলাকার মানুষ।
তবে সেলিম যখন পৌঁছেছেন সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে। তাও মানুষ ঠায় বসে থেকেছেন।
সমাবেশে সেলিম বলেছেন, গ্রামে আগুন লাগলে কেউ ‘পানি’ নিয়ে আসে কেউ ‘জল’ নিয়ে আসে। কেউ ‘পানি’ আর ‘জল’ বলা নিয়ে ঝগড়া করে না। তৃণমূল আর বিজেপি এই ঝগড়া বাঁধাতে চাইছে। দেশে আগুন লেগেছে। দেশের আগুন নেভানোর জন্য ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চ তৈরি হয়েছে। বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস এককাট্টা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম বিজেপি’র বিরুদ্ধে সকলে এককাট্টা হোক। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি কখনই বিজেপির বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। তিনি কংগ্রেস ভেঙে আরএসএস’র টাকায় তৃণমূল তৈরি করেছিলেন। ধর্মকে ব্যবহার করা সংগঠনগুলি মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে।’’
সেলিম বলেছেন, ‘‘এই বাংলায় কোনদিন সাম্প্রদায়িক শক্তি দাঁত ফোটাতে পারেনি। আরএসএস বাংলায় রাজনীতিতে আসার জন্য মমতাকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। তৃণমূল আর বিজেপি’র লড়াই লোক দেখানো।’’


এদিন সকাল থেকে ডোমকল বিধানসভা এলাকায় গ্রামে গ্রামে প্রচার  করেছেন মহম্মদ সেলিম। রাস্তা আগলে কেউ সেলিমের হাতে তুলে দিয়েছেন শরবতের গ্লাস। কোথাও আবার মহিলারা মিষ্টি মুখ করিয়ে বরণ করে নিয়েছেন জনতার প্রার্থীকে। সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস নেতারা।
মহম্মদ সেলিমের নির্বাচনী প্রচারে উঠে এসেছে মানুষের রুটি, রুজি, কর্মসংস্থানের কথা। মোমিনপুরের সমাবেশে সেলিম বলেছেন, ‘‘দেশে ছোট ব্যবসায়ী, কৃষকদের জন্য সংসদে আলোচনা হয় না। আলোচনা হয় কর্পোরেটকে কীভাবে আরও বড়লোক করা হবে তাই নিয়ে। ক্ষুধার তালিকায় দেশ পিছনের দিকে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে।’’
স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে ২৫ হাজার চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেলিম বলেছেন, ‘‘২৫ হাজার জনের চাকরি গিয়েছে আদালতের রায়ে। সবাই অযোগ্য তা নয়। তৃণমূল সরকার চাকরি চুরি করার জন্য প্রক্রিয়া এমন করেছে যে আদালতে কানমোলা খেয়েও মুখ থেকে কোনও কথা বেরচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী থেকে খাদ্যমন্ত্রী জেলে। শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা জেলে গিয়েছেন। এই শিক্ষকরা না থাকলে গ্রীষ্মের ছুটির পর পড়াশোনার কী হবে?’’
সেলিম বলেছেন যে আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্যের তালিকা আলাদা করে জমা দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই দেয়নি। সে কারণে যোগ্যদেরও চাকরি গিয়েছে।
যদিও এই সব সমস্যা নিয়ে ভাবার সময় হয়নি অভিষেক ব্যানার্জির। এদিন অন্য এলাকার পাশাপাশি রঘুনাথগঞ্জেও সভা করেন অভিষেক। জঙ্গিপুর মহকুমার ওই সভায় জেলার ১৩ লক্ষ বিড়ি শ্রমিককে নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি তৃণমূল সাংসদ। বরং প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি’র বিরুদ্ধে সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের লড়াই নিয়ে।
এদিন সুতিতে জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী মোর্তাজা হোসেনের সমর্থনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, সিপিআই(এম) নেতা সোমনাথ সিংহ রায়। অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ থেকেই তৃণমূল, বিজেপি-কে হারানোর লড়াই শুরু হচ্ছে। আজ বিজেপি’র হাত ধরে বাঁচতে চাইছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের মানুষ সেই সুযোগ দেবেন না।’’

Comments :0

Login to leave a comment