মোর্দীর ‘বদলি’ সাংসদই প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিলেন। ভদোদরার সাংসদ রঞ্জন ভাটই একা নন, ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন গুজরাটের আরও এক কেন্দ্র সবরকাঁটা ভিকাজী ঠাকোরও প্রার্থী না হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।
বারাণসী থেকে না জিতলে কী হবে, এমনটাই ভেবে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের ‘নিরাপদ’ আসন ভদোদরা থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বারাণসী জিতে যাওয়ায় সর্বভারতীয় ইমেজ ধরে রাখতে শেষ পর্যন্ত ভদোদরা আসন ছেড়ে দেন মোদী। উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করে রঞ্জনবেন ধনঞ্জয় ভাটকে। দু’বারের সাংসদ রঞ্জন এবারও ভদোদরায় প্রার্থী। কিন্তু শনিবার রঞ্জনবেন জানিয়ে দিলেন, ভোটে তিনি লড়ছেন না। এর কিছু আগেই সবরকাঁটার বিজেপি প্রার্থী ভিকাজী ঠাকোরও একই ঘোষণা করেছেন।
আদিবাসী নিবিড় সবরকাঁটা থেকে ঠাকোরের সরে যাওয়া নিয়ে তাঁর নিজের কথায়, ‘ব্যক্তিগত কারণ’। এর বেশি কিছু বলার মতো অবস্থায় তিনি নেই বলেই জানিয়েছেন। তবে রঞ্জনবেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, দলের অন্তরকলহের কারণেই তিনি সরে যাচ্ছেন। দিন কয়েক আগেই ভদোদরা শহরেই ব্যানার পড়েছিল, ‘মোদী তুঝে বেইর নেহি, রঞ্জন তেরি খেইর নেহি’। মোদীতে আপত্তি না থাকলেও, আমরা কোনোভাবেই রঞ্জনকে মেনে নেব না। গত ভোটে আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী সাংসদের বিরুদ্ধে দলের মধ্য থেকেই বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে আরএসএস সহ বিজেপি’র একাংশের তীব্র বিরোধ আছে রঞ্জনকে নিয়ে। ভদোদরা থেকে রঞ্জনকে তৃতীয়বার প্রার্থী করার পরই বিজেপি’র মহিলা শাখার সর্বভারতীয় সহ সভানেত্রী জ্যোতিবেন পান্ডিয়া শুধু সমস্ত পদই ছাড়েননি, দলও ছেড়ে দিয়েছেন। এদিন সেই রঞ্জন প্রতিদ্বন্ধিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে’ ছাড়ছি। পান্ডিয়ার কথায় নয়। তবে কিছু লোক যেভাবে ভদোদরার বদনাম করছে, তাতেই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।
কংগ্রেস নেতা অমি রাওয়াত দাবি করেছেন, দলের মধ্যে অসন্তোষ আর রঞ্জনবেনের বিপুল দুর্নীতির কারণেই বিজেপি-র হাইকমান্ডের নির্দেশেই সরে দাঁড়ালেন রঞ্জনবেন। তিনি রঞ্জনবেনের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত দাবি করেছেন।
Comments :0