চার মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও ২৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করা যায়নি। দাবি করেননি পরিজনরা। ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে দেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখা ছিল এতদিন। অশনাক্ত দেহগুলি আর সংরক্ষণ করা যাবে না। সেই কারণে বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের এই দেহগুলির শেষকৃত্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভুবনেশ্বর কর্পোরেশন তরফে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ট্রেন দুর্ঘটনার অশনাক্ত দেহগুলি দাহ করা প্রক্রিয়া শুরু হয়। বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে দেহগুলির শেষকৃত্য হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুবনেশ্বর কর্পোরেশনের মেয়র সুলোচনা দাস। এই কাজে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করেছেন বলে তিনি জানিয়েছে। তাঁরা মৃতদেহগুলি দাহ করেন। এমনকি মৃত ব্যক্তিদের ধর্ম বা তাঁরা পুরুষ না মহিলা তা-ও জানতে চাননি মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা।
গত ২ জুন ওডিশার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগায় চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়ামুখী যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি পরস্পরের ওপর আছড়ে পড়ে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে হওয়া ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় ২৯৬ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হন ১,২০০ জনের বেশি যাত্রী।
Comments :0