অনিল কুণ্ডু, বারুইপুর
কারও মাথায় চৌষট্টি সেলাই। কারও শরীরের সর্বত্র আঘাতের দাগ। সিপিআই(এম) করেন, প্রতিরোধ গড়েছেন পঞ্চায়েতে ভোট লুটের। তাই এমন আক্রমণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও জয়নগরের এই আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ।
বারুইপুরের ধপধপির পশ্চিম মল্লিকপুর গ্রামে আক্রান্ত ভজু হালদারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। জয়নগরের গড়দেওয়ানিতে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি এবং রাজ্য কমিটির সদস্য রাহুল ঘোষ।
অভিযোগ, ভোট গণনার পরের দিন ১২ জুলাই রাতে সিপিআই(এম) কর্মী ভজু হালদারকে তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী আক্রমণ করে। খুন করার উদ্দেশ্যেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়। তাঁর মাথায় ৬৪টি সেলাই হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।
ভজু হালদার বলেন, ‘‘ভোট গণনার দিন তৃণমূল হেরে যাওয়ায় গণনা কেন্দ্রে থেকে সিপিআই(এম) প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয় তৃণমূলীরা। পুলিশ-প্রশাসনের সামনেই বের করে দেওয়া হয়। সিপিআই(এম) করার অপরাধেই তাঁর উপর এই আক্রমণ।
শুক্রবার এলাকায় মিছিল করে ভজু হালদারের বাড়িতে আসেন সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, তুষার বসু, সফিউদ্দিন খান, প্রসেনজিৎ কর্প, সুচরিতা বসু, লাহেক আলি প্রমুখ।
জয়নগরের গড়দেওয়ানি অঞ্চলে গণনার দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত সিপিআই(এম) কর্মী আনসার মোল্লা, রউফ মোল্লার বাড়িতে গিয়েছেন সিপিআই(এম) নেতা কান্তি গাঙ্গুলি ও রাহুল ঘোষ। ছিলেন সাম্য গাঙ্গুলি, পুলক বসু, রমা চক্রবর্তীও।
আক্রান্তরা জানিয়েছেন যে গণনায় গড়দেওয়ানি অঞ্চলের তৃণমূলের উপপ্রধান হেরে যায়। তৃণমূলের সশস্ত্র বাহিনী আক্রমণ করে সিপিআই(এম) কর্মীদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর তাঁরা বাড়িতে ফেরায় পার্টি নেতৃবৃন্দ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।
কান্তি গাঙ্গুলি জানান, আক্রান্ত পার্টি কর্মীদের দশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসার অন্যান্য দায়িত্বও নিয়েছে সিপিআই(এম)।
Comments :0