KATCHATHHEVU CHIDAMBARAM

কাচ্ছাথিভু বিতর্কে বিদেশমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা চিদাম্বরমের

জাতীয়

শ্রীলঙ্কার কাচ্ছাথিভু দ্বীপ ঘিরে বিতর্কে পালটা সওয়ালে নামল কংগ্রেস। দলের নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ভূমিকা নিয়েও। 
২৮৫ একরের প্রায় নির্জন এই দ্বীপ নিয়ে বিতর্ক খুঁচিয়ে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই। তাঁর অভিযোগ, ভারতের এলাকা শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সময়ে। ১৯৭৪ সালে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সিরিমাভো বন্দরনায়েকের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী। 
মোদীর বয়ানের পর তামিলনাডুতে এই বক্তব্য ছড়াতে নেমেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই বলেছেন সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিএমকে নেতা এম করুণানিধিও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এই মর্মে সোমবার সওয়ালে নেমেছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করও।  
এদিনই পালটা বক্তব্য জানিয়ে সরব হন চিদাম্বরম। তিনি বলেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী নজর সরানোর কৌশল নিতে অভ্যস্ত। আজকের সমস্যা নিয়ে না বলে প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো মিটে যাওয়া বিষয়কে টেনে আনছেন। চীন প্রসঙ্গে কিছু বলছেন না।’’ 
চিদাম্বরমের বক্তব্য, ছোট্ট ওই দ্বীপে চুক্তি কারণে অন্তত ৬ লক্ষ তামিল পরিবার ভারতে আসতে পেরেছিলেন। তাঁদের তৃতীয় প্রজন্ম এখন ভারতের বাসিন্দা। মাছ ধরার অধিকারও রেখেছে ভারত। 
তামিলনাডুর এই কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর মেয়াদে প্রায় ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি চীনের হাতে চলে গিয়েছে। ২৩ দফা আলোচনা হলেও জমি ফেরাতে পারেননি। চিদাম্বরম বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সমস্যা মেটানোর জন্য নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের সঙ্গেও চুক্তি করেছেন। সীমান্তে ১০ হাজার একর জমি বাংলাদেশকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। 
জয়শঙ্করকে উদ্দেশ্য করে চিদাম্বরমের খেদ, ‘‘বিদেশমন্ত্রী একসময়ে দেশের বিদেশসচিব ছিলেন। উদামনস্ক তৎপর ফরেন সার্ভিস আধিকারিক বলেই পরিচিত ছিলেন। তিনি ভোল বদলে আরএসএস-বিজেপি’র মুখপত্রে পরিণত হয়েছেন।’’
চিদাম্বরম জয়শঙ্করকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন, ‘‘গত পঞ্চাশ বছরে মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আবার প্রতিটি সরকারই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ছাড়িয়ে এনেছে। জয়শঙ্কর নিজে যখন বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিক ছিলেন বা বিদেশমন্ত্রী ছিলেন, তখনও হয়েছে। আজকে কী হলো যে জয়শঙ্করকে কংগ্রেস এবং ডিএমকে’র বিরুদ্ধে কুৎসায় নামতে হচ্ছে!’’

Comments :0

Login to leave a comment