MD SALIM

পুলিশের অতি তৎপরতার বিরুদ্ধে আগামী তিনদিন রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ : সেলিম

রাজ্য

রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটিদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামী তিনদিন রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সিপিআই(এম)। বুধবার সিপিআই(এম)’এর রাজ্য সদর দপ্তর মুজফফর আহমেদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে জানানলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘আজকে গোটা দেশে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকে ধর্মঘট চলছে, কেন্দ্রীয় সরকারের জন বিরোধী নীতি, শ্রম কোডের বিরুদ্ধে। কৃষক দাম পাচ্ছে না তার বিরুদ্ধে। দেশে বেকারি বাড়ছে, ঠিকা শ্রমিকদের কাজের নিরাপত্তা নেই। নুন্যতম মজুরি নিয়ে ধর্মঘট। সব বামপন্থী দল এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। আমাদের রাজ্য বিজেপির দালাল তৃণমূল সেই ধর্মঘট ভাঙতে তৎপর। পুলিশ দিয়ে গুন্ডা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটিদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আগামী তিন রাজ্যে ধিক্কার কর্মসূচি পালন করা হবে। সব অংশের মানুষকে আহ্বান জানানো হচ্ছে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য।’’
তিনি বলেন, ‘‘মোদির বিরুদ্ধে ধর্মঘট, মমতা সক্রিয়। হামলা হয়েছে, আক্রমণ হয়েছে, গ্রেপ্তার করেছে, ৮০ বছরের মহিলাকেও ছাড়েনি। পার্টি কর্মীকে চর মেরেছে পুলিশ সবাই তা দেখেছে। কোন প্ররোচনা ছাড়াই হয়েছে এই সব কাজ। যেই জেলায় এই চর মারার ঘটনা ঘটেছে সেখানকার এসপির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে রাজ্যের সব থানার সামনে বিক্ষোভ হবে।’’


সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে পুলিশ গিয়ে কলেজ খুলছে যাতে ধর্মঘট না হয়। কিন্তু কলেজের ভিতর যখন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে তখন পুলিশকে দেখা যায় না। বীরভূমে পুলিশের উপস্থিতি হামলা হয়েছে। নানুরে শ্যামলী প্রধান সহ অনেকে আক্রান্ত। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। কমরেডরা হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল এত মরিয়া কেন? কার কাছে নম্বর তুলছে?’’ সেলিমের কথায়, ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির কাছে সাধু সাজছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘‘ধুলিয়ান থেকে মহেশতলা যখন হিংসা হয় তখন পুলিশ চুপ থাকে। গণতান্ত্রিক ভাবে মানুষ প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালায়। মানুষের রাগ ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে পুলিশের ওপর।’’
মহম্মদ সেলিম দাবি করেন এদিনের ধর্মঘটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। তার কথায় ব্যাঙ্ক, কল-কারখানায় স্বাভাবিক দিনের থেকে কাজের গতি ব্যহত হয়েছে। উপস্থিতির হার কম ছিল। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার বাস, ট্রাম তুলে দিচ্ছে কিন্তু এদিন বেশি করে গাড়ি রাস্তায় নামিয়েছে। দেখাতে চাইছে যে ধর্মঘট রাজ্যে সফল হয়নি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে শ্রমজীবী মানুষ এই ধর্মঘটে ব্যাপক ভাবে অংশ নিয়েছেন। অনেক ক্যাব রাস্তায় নামেনি।’’ 
পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশী বলে পুষ ব্যাক করা হচ্ছে। দেশের যা অর্থনীতি তাতে পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ছে। সংবিধান অনুযায়ী এই পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেবে কেন্দ্র। অন্য রাজ্যে যখন বাংলার শ্রমিকরা মারা যাচ্ছে এই রাজ্যের কোন প্রতিনিধি সেখানে যাচ্ছে না। যারা মনে করেছিল আসামে এনআরসি মুসলিমদের জন্য এখন দেখা যাচ্ছে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে কাগজ দেখেতে চাইছে। এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছি।’’

Comments :0

Login to leave a comment