Cyclone Midhili

বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল মিধিলি

আন্তর্জাতিক


শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ প্রায় ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ঝড়ের প্রভাবে খেপুপাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে মিধিলি খবর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। 
মিধিলির প্রভাবে নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে সড়কের বিভিন্ন অংশে গাছ ভেঙে পড়েছে। যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুরু হয় বৃষ্টি সেই সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। তাতে ক্ষতি হয়েছে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির এমনটাই খবর বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 
এদিন বিকেলে হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট সহ খেপুপাড়া উপকূলে মিধিলির প্রভাব পড়েছে। খেপুপাড়া এবং সংলগ্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে ঘেছে। বাংলাদেশের উপকূলে মিধিলি আঘাত হানলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বাতাসের গতি ইতিমধ্যেই বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, স্থলভাগ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্রমশই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পরই দুর্বল হয়েছে মিধিলি। ইতিমধ্যেই ঢাকা, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
বঙ্গোপসাগরীয় অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় তেমন প্রভাব দেখাতে পারল না। শুক্রবার সকালে তৈরি হয়েছিল ওই ঘূর্ণিঝড়টি। কিন্তু পশ্চিমী বাতাসের সঙ্গে লাগাতার লড়াই করতে করতে শক্তিহীন শুধু নয়, পথ ঘুরে বাংলাদেশে গিয়ে দিনের দিন শেষ হলো মিধিলি। তবে দূরবর্তী ওই ঘূর্ণিঝড়ের আবহে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা দেখা মিলল। এদিন সকালের দিকে মাঝমধ্যে একটু ঝোড়ো বাতাস ছাড়া মিধিলের উপস্থিতি তেমন করে টের পাওয়া যায়নি।
উপকূলবর্তী জেলায় কিছু বৃষ্টির খবর মিলেছে। শহরাঞ্চলে সেই বৃষ্টি ছিল ছিটেফোঁটা। তবে মিধিলের জেরে কলকাতার সর্বোচ্চ পারদ এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নেমে গেছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি। আগামীকাল থেকে পারদ নামা শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। রাতের পারদ নামার সঙ্গে সঙ্গে নভেম্বরেই শীতের আমেজ চলে আসবে বলে মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

Comments :0

Login to leave a comment