গৌতম রায়
শিল্পী শোভা সেন তাঁর আত্মকথন মূলক গ্রন্থ,' স্মরণে বিস্মরণে : নবান্ন থেকে লাল দুর্গ' গ্রন্থে লিখেছিলেন; তিনি যখন প্রথম ব্রেখট পত্নীর সঙ্গে দেখা করেন, তখন ব্রেখট পত্নীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন; তাঁর জীবনের স্মরণীয় দিন কী। শোভা সেনের ধারণা ছিল, হয়ত বা ব্রেখটের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার দিনটিকে ব্রেখট পত্নী নিজের জীবনের স্মরণীয় দিন বলে উল্লেখ করবেন। কিন্তু না। ব্রেখট পত্নী বলেছিলেন; প্রথম যেদিন মে দিবসের মিছিলে তিনি অংশ নিয়েছিলেন, সেই দিনটি তাঁর জীবনের সবথেকে স্মরণীয় দিন। সদ্যপ্রয়াত কবি হেলাল হাফিজের কাছে ব্রেস্ট পত্নীর এই উপলব্ধি টি খুব দাগ কেটেছিল।
হেলাল হাফিজ বলতেন; তাঁর জীবনের ও এই রকম একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন হলো ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের ক্র্যাকডাউনের কয়েকদিন পর, যখন তিনি ইকবাল হলে গিয়ে দেখলেন, চারিদিকে কেবল মৃতদেহের স্তূপ, ভয়ঙ্ককর বিষণ্ণ মন নিয়ে হল থেকে বেরিয়ে আসার মুখেই তাঁর সঙ্গে দেখা হলো কবি নির্মলেন্দু গুণের। জীবিত অবস্থায় গুণদাকে দেখে আবেগে আপ্লুত হেলাল হাফিজ তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন । আর হেলাল হাফিজকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগে একেবারে শিশুর মতো কাঁদতে শুরু করেছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
এই দিনটাকেই হেলাল হাফিজ ঠিক সেই ব্রেখট পত্নীর জীবনের স্মরণীয় দিনের মতো একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে মনে করতেন। একাত্তরের পঁচিশে মার্চ ক্র্যাকডাউনের দিন। হেলাল হাফিজ ছিলেন ফজলুল হক হলে। তখন তিনি থাকতেন অবশ্য ইকবাল হলে ।যে টির বর্তমান নাম জহুরুল হক হল।
সেই ইকবাল হলে যদি ২৫ তারিখ রাত্রে তিনি থাকতেন, পাক থানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। ২৭ তারিখে ('৭১) পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হওয়ায় নির্মলেন্দু গুণ ইকবাল হলে খুঁজতে গিয়েছিলেন তাঁর ভ্রাতৃপ্রতিম হেলাল হাফিজকে। গুণদার ধারণা ছিল; পাক হানাদারদের হাতে আর বেঁচে নেই হেলাল হাফিজ। তাই জীবন্ত অবস্থায় অনুজ-প্রতিম কবি কে দেখে নির্মলেন্দু গুণ আর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি।
তারপর দুই কবি চলে গেলেন বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে কেরানিগঞ্জের দিকে। সেখানে হলো তাঁদের সামরিক আশ্রয়।
হেলাল হাফিজের ব্যক্তি জীবনটা ছিল বড় দুঃখের ।মাত্র তিন বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। তাঁর জীবনের একমাত্র অবলম্বন ছিলেন পিতৃদেব। মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরে,' ৭৩ সালে তাঁর পিতার ইন্তেকাল ঘটে। সেই থেকে সঙ্গে যেন অদ্ভুতভাবে এক মিতালী পাতিয়েছিলেন কবি নিঃসঙ্গতার সঙ্গে।
পিতার জীবিতকালেই হেলাল হাফিজের এক প্রেমিকা ছিলেন। কিন্তু পিতার মৃত্যুর অব্যবাহিত পরেই সেই প্রেমিকার সঙ্গেও তাঁর বিচ্ছেদ ঘটে। সেই প্রেমিকা যখন একদিন কবিকে বললেন; আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি। তার প্রত্যুত্তরে কবি কি বলেছিলেন সেটা তাঁর লেখা থেকে উদ্ধৃত করছি;" ছোটবেলা থেকে আমি খুব সহনশীল ছিলাম। প্রচণ্ড সহ্য শক্তি আমার। কথাটা শুনে ভেতরের ঝড় বুঝতে দিলাম না হেলেন কে। ওখান থেকে উঠে ...রিকশা নিয়ে চলে এলাম।"
ওই যন্ত্রণা থেকেই কবির কলম থেকে উৎসারিত হয়েছিল;" ভালোবাসা মিলনে মলিন হয়, বিরহে উজ্জ্বল।" 'পৃথক পাহাড়' নামক হেলাল হাফিজের বহুল পঠিত একটি কবিতায় তিনি বলছেন ;" আমি আর কতটুকু পারি? /এর বেশি পারেনি মানুষ।" পরিমিতির মধ্যে অপরিমিতির এক অদ্ভুত দুনিয়া তৈরি করবার ক্ষমতা ছিল হেলাল হাফিজের। কখনো তিনি মনে করেননি, মানুষের চিন্তার সৃষ্টির ভুবন সীমিত। মানুষের প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস। তাঁর রচিত সেই বিখ্যাত পংক্তিগুলি ;" এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার ,তার শ্রেষ্ঠ সময় "-- এটি নিয়ে বহু আলোচনা হলেও' প্রস্থান' নামক একটি কবিতার শেষের দিকে কবি বলছেন;" এক জীবনে কতটা নষ্ট হবে,/এক মানবী কতটা আর কষ্ট দেবে"— এই অনুরণের মধ্যে দিয়েই বোঝা যায়,ব্যক্তি সত্তা আর সামাজিক সত্তার মেলবন্ধনের কি অসাধারণ মুনশিয়ানাই না ঘটাতে সক্ষম হতেন কবি।
এই কবিতারই শুরুতে হেলাল হাফিজ লিখছেন;" এখন তুমি কোথায় আছো ,কেমন আছ, পত্র দিও। ...কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল মাঝে মনের কানে/ কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয়, ভাসতে বলে প্রেমের বানে/ পত্র দিও ,পত্র দিও।" এ কবিতা কি প্রেমে প্রতিবাদে এক অক্ষয় দীপ্ত শব্দমালাকে সম্বল করে মানুষের চেতনায় এক অন্য ধরনের উদ্ভাসন ঘটায় না? প্রিয় মানুষের চিন্তা কেবল কি প্রিয়জনকে ঘিরেই আবদ্ধ রাখে? সেই প্রিয়জনের চিন্তা যেভাবে ব্রেখসপত্নীর মধ্যে শোষিত নিপীড়িত শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার আদায়ের সার্বিক কার্যক্রমের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায় নাহেলাল হাফিজের এই প্রেম আর প্রতিবাদের সম্মিলন? একেবারে যেন প্রতিবাদের একাত্মতার এক নিশ্চিত তন্ময় রাগিনী আমাদেরকে স্নিগ্ধ করে না?
হয়তো একাকীত্বের এক অমঘ যাপন, এক ধরনের মানসিক অনুভূতির মধ্যে হেলাল হাফিজকে উপনীত করেছিল বলেই অজস্র লিখে যাওয়া এই ভাবধারার সঙ্গে তিনি নিজেকে কখনো সম্পৃক্ত করেনি? সময়কে তিনি খানিকটা চেখে চেখে অনুভব করতেন? আর সেই অনুভূতিকে কাগজে অক্ষরে ফুটিয়ে তুলবার ক্ষেত্রে অদ্ভুত একটা ধীশক্তি তার মধ্যে কাজ করতো?
কিন্তু সেই ধী শক্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে কবির মধ্যে যে দার্শনিক মন ,মানসিকতা এবং মনস্তত্ত্ব সক্রিয় ছিল ,সেটা কিন্তু সার্বিকভাবে বাঙালির মননলোককে সমৃদ্ধ করে। তবে একটা জিজ্ঞাসা থেকেই যায় ; মুক্তিযুদ্ধ পাক খানাদার বাহিনীর বীভৎস্যতা— এগুলি কবিকে ভীষণরকমভাবে বিধ্বস্ত করলেও, মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশ ঘিরে কবি কেন এক অদ্ভুত শীতল অনুভূতি নিয়ে চলেছিলেন?
মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শাহাদাত বরণ করবার সময়, সেই সময়কাল ঘিরে ইতিবাচক- নেতিবাচক সব ধরনের চিন্তাভাবনা বর্তমান এই সময় কাল ঘিরে হেলাল হাফিজের কলম থেকে কেন সেই অর্থে কোনও শব্দই বের হয়নি ? ' ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের যে ভয়াবহতা, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে অঙ্কুরের বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের যযাতির তুষ্ণা, তাকে ঘিরে শামসুর রাহমান থেকে শুরু করে বেলাল চৌধুরি, মহাদেব সাহা, শহীদ কাদরির মতো কবিরা সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু হেলাল হাফিজ তাঁর অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে এই সময়কাল ঘিরে কেন এই ধরনের কার্পণ্য করে গেলেন ?প্রায় তাঁর গোটা জীবনটা ধরে কবিতাচর্চার নিরিখে এটা ঘিরে বাংলা কবিতার দুনিয়ার অনুরাগী সমস্ত মানুষদের কাছেই একটা প্রশ্ন চিরদিনের জন্য থেকে যাবে।
জনগণের কবি মানুষের কবি ছিলেন শামসুর রাহমান ।মানুষের কথা বলতে কখনো তিনি ছন্দের প্যাঁচ পায়জারের মধ্যে নিজের কাব্যের ভুবনকে আকীর্ণ করেননি। স্বাধীনতাকে মানুষ রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান বলে দেখতে সমর্থ হয়েছিলেন, সেই মানুষটিঈ যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান 'জয়বাংলা ' কে নিষিদ্ধ করবার চেষ্টা করেছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চালিয়েছিলে ভয়াবহ সন্ত্রাস। এই 'জয় বাংলা' স্লোগান উচ্চারিত হওয়ার কারণে তখন তাঁর কলম থেকে নিঃসৃত হয়েছিল ,' লানতের পঙ্তি মালা' র মতন এক অজর অজেয় কবিতা।
আবার সেই মানুষই উচ্চারণ করেছিলেন; "এসো হাতে হাত রাখি পূর্বপুরুষের মৃত্তিকায় ।" আমরা যদি হেলাল হাফিজের সব থেকে আলোচিত কাব্যগ্রন্থ,' যে জলে আগুন জ্বলে' র কবিতাগুলির দিকে ফিরে তাকাই ,তাহলে দেখতে পাবো; ঠিক শামসুরের মতই কোনোরকম প্যাঁচ পয়জার, ছন্দের নানা ধরনের কারুকাজ ব্যতীত, একদম মানুষের মনের কথায়,মুখের কথায়, এবং ভাষায় এখানে কবিতাগুলিকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন কবি। আর তাই সেই কারণে প্রতিটি বাঙালির তথা কাব্যপ্রেমীর মনের ভাষা , প্রাণের ভাষা হয়ে উড়তে সক্ষম হয়েছিল এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি।
এই যে সহজভাবে বলতে পারার অদ্ভুত মুনশিয়ানা, শামসুর রহমানের এই ধারাটিকে যেভাবে প্রজ্বল হয়ে উঠতে দেখি আমরা হেলাল হাফিজের কবিতার মধ্যে, সমসাময়িক কালের দুপার বাংলার খুব কম কবির মধ্যেই সেই সহজাত প্রতিভা ছিল। কবিতার মধ্যে দিয়ে মানুষের ভাষাকে প্রকাশ করা— এটা খুব সহজ কথা নয়। সহজ ব্যাপার তো নয়ই। ঠিক শামসুর রহমানের মতোই,' কবিতার সঙ্গে গেরস্থলী পাতা ' হেলাল হাফিজের ক্ষেত্রে এতটাই নিবেদন হয়েছিল। যে মাত্র দুটি কাব্যগ্রন্থের মধ্যে দিয়েই তিনি বাঙালি হৃদয় জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার ভিতরেই।
তাই যখন আমরা পড়ি; হেলাল হাফিজের ;" আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে/ কিছু থাকে/ হোক না শ্যামল রং ছাই,/ মানুষে পোড়ালে আর কিছুই রাখে না/ কিচ্ছু থাকে না ,/ খাঁ খাঁ বিরান, আমার কিছু নাই।" কবিতাটির নাম ' মানবানল' ( যে জলে আগুন জ্বলে) -- এই মনের আর্তি, হৃদয়ের ব্যাকুলতি, আরত যেন আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, অমিয় চক্রবর্তী সেই লাইন ;" ওঁ কৃৎ স্মরো, জ্বালানি কাঠ জ্বলো।জ্বলতে জ্বলতে বলো।আকাশতলে এসে অঙার হলো আলো, অঙার হলো আলো।"
আজ যারা বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের পতাকার অবমাননা করছে, বা ভারতে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা করছে, তাদের কারো হয়তো জানা নেই, হেলাল হাফিজের লেখা ,'একটি পতাকা পেলে' কবিতাটির এই লাইনগুলো ;" কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে/ আমি আর লিখবো না বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা।"
পতাকা যে কেবল একখণ্ড কাপড়ে টুকরো নয়। পতাকা যে 'আসাদের রক্তাক্ত শার্ট 'এর মানসিকতা এবং চেতনা। হয়তো আমরা মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পারিনি বলেই আমাদের মননলোকের উজ্জ্বল ছবিতে নক্ষত্র খচিত পতাকা ধীরে আজও আমরা নানা ধরনের অপকর্ম নির্মিত হতে দেখেও, না দেখার ভান করে চলে যাই। প্রতিরোধ তো দূরের কথা। প্রতিবাদ পর্যন্ত করি না।
যখন এই কবিতাতেই হেলাল হাফিজের লেখা এই পংক্তি আমরা উচ্চারণ করি; " কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে/ পাতাকুড়োনির মেয়ে শীতের সকালে / ওম নেবে জাতীয় সংগীত শুনে পাতার মর্মরে।"
বেদনার অঙ্কুরিত কষ্টের কবিতা এই বাক্যগুলি আমরা পড়ে যাই। কিন্তু আমরা যারা খানিকটা বয়সে প্রবীণ হয়েছি, দেখেছি;" একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি "— সেই উত্তাল দিন— আমরা বুঝি ; পতাকা ঘিরে কি আবেগ। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ,শোষণের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে,সংগ্রামরত মানুষদের লড়াইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতার কথা। ধ্বনিত হয়েছিল সেই আবেগ ফরাসি বিপ্লবের যুগে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেও। যেমন আবার তারও উনিশ শতকে রাশিয়ায় জার তন্ত্রের সামন্ততন্ত্র এবং সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার বিরুদ্ধে।লড়াইয়ের ক্ষেত্রে মানুষকে প্রেরণায় উদ্বৃত্ত করেছিল। সেই লড়াই কিন্তু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বা হানাদার পাক বাহিনীর চরম মানবতা বিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইকে সঙ্ঘবদ্ধ করেছিল। হেলাল হাফিজ কিন্তু সেই লড়াই একজন অগ্রপথের সৈনিক ছিলেন।
এই পথকে পিচ্ছিল করে দেওয়ার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার,অবদমিত করবার প্রয়াস— সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। সাম্প্রতিক অতীতে এই প্রয়াস এক বদ্ধ উন্মাদের আকার আকৃতি ধারণ করেছে। মুক্তবুদ্ধির পান্থজন, তাঁরা এখন সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদের কশাঘাতে কার্যত চরমভাবে অপমানিত। অবরুদ্ধ।
তাই এইরকম একটা সময়ে হেলাল হাফিজের মতো মানুষের চলে যাওয়া আমাদের কাছে নতুন করে শোক নয়, যুদ্ধের পংক্তিতে, লড়াইয়ের আসরে, মানবতা সপক্ষে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রাণের আকুতি দিয়ে রক্ষা করবার তাগিদে, পরিপূর্ণ করে তোলবার এক অনন্য শপথ।
Comments :0