Kejriwal

পাঞ্জাব পুলিশকে সরিয়ে গুজরাটের বাহিনী, কেজরিওয়ালের অভিযোগে সরগরম দিল্লি

জাতীয়

দিল্লির নির্বাচনকে দুই মতাদর্শের লড়াই আখ্যা দিলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 
রবিবার সংবাদ মাধ্যমে কেজরিওয়াল বলেছেন, দিল্লির জনতা দুটি ভিন্ন মতাদর্শের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নেবেন। আম আদমি পার্টি চায় জনতার করের টাকা সমাজের কল্যাণে খরচ হোক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য , বিদ্যুৎ, পানীয় জলে খরচ আম আদমি পার্টির অগ্রাধিকার। বিজেপির মতাদর্শ হলো জনগণের করের টাকা ঘনিষ্ঠ ধনীদের পাইয়ে দেওয়ার। এর মধ্যে কোনটা প্রয়োজনীয় বেছে নেবেন দিল্লির মানুষ। 
৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন দিল্লিতে। সরকারে আসীন আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন থাকার সময়ই অরবিন্দ কেজরিয়ালকে জেলে যেতে হয়েছে দুর্নীতির দায়ে। বিরোধী সব দলগুলি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগও তুলেছে এই ঘটনায়। জামিনের পর কেজরিওয়াল আপ-র প্রচারে প্রধান মুখ। 
রবিবারই কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন পাঞ্জাব পুলিশের বাহিনী সরিয়ে গুজরাটের থেকে পুলিশ এনে নির্বাচন কমিশন মোতায়ন করছে দিল্লিতে। উল্লেখ্য পাঞ্জাবে সরকার আপের। অন্যদিকে গুজরাটে সরকার বিজেপির। দিল্লির পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। 
দিল্লিতে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ মোতায়ন ঘিরেও রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। কেজরিওয়াল বলেছেন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে দিল্লিতে। তাঁর ব্যক্তিগত সুরক্ষায় পাঞ্জাব পুলিশের যে বাহিনী মোতায়েন ছিল তাদেরকেও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 
বিজেপি পাল্টা বলেছে যে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী বাহিনী দেওয়া হয়েছে। কেবল গুজরাট নয় অন্য রাজ্য থেকেও বাহিনী নেওয়া হয়েছে। তবে দিল্লির পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন মুখ্যত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকেই পুলিশ মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। 
রবিবার বিজেপিকে কর্পোরেট বান্ধব প্রমাণ করেও প্রচার চালিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন গত পাঁচ বছরে হাতেগোনা ৪০০ থেকে ৫০০ শিল্পপতি এবং ধনীদের কর মুকুব করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। দিল্লিতে ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের ওপর নিম্নবিত্তকে দেওয়া ছাড় তুলে দেওয়ার লক্ষ্য জানিয়েছে। 
আপের অভিযোগ বয়স্কদের বাড়ি বাড়ি ভোট নেওয়ার কাজেও পক্ষপাতিত্ব করছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। বিজেপির লোকজন বয়স্কদের ভোট দেওয়াচ্ছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও প্রকাশ করেছে ‘আপ’। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কমিশনের বক্তব্য, বয়স্কদের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরই থাকতে বলা হচ্ছে

Comments :0

Login to leave a comment