Economic Survey: AI

এআই কমাতে পারে কাজ, বিশেষ পরিচ্ছদ অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে

জাতীয়

আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স বা এআই কমতে পারে কর্মসংস্থানের সুযোগ। অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে একটি বিশেষ পরিচ্ছদে এই মর্মে আশঙ্কা জানানো হয়েছে। 
কেন্দ্রের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ বলেছেন, শিল্প এবং প্রযুক্তির গুরুতর পরিবর্তন সর্বদা কাজের সুযোগ বাড়ায়নি। দেশে বা বিশ্বে এমন উদাহরণ থেকে আমাদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। 
রিপোর্টে বেসরকারি ক্ষেত্রকে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কর্মসংস্থানের মধ্যে ভারসাম্য রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 
নাগেশ্বরণের মন্তব্য, ‘‘নিজের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে ফোর্ড বলেছিলেন যে তা না করা হলে গাড়ি কেনার লোক পাওয়া যাবে না। বেতন বাড়ানো কেবল নৈতিক বিষয় নয়, ব্যবসায়িক বিবেচনাও।’’
মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা রিপোর্ট পেশ করে এমন পরামর্শের কথা বললেও সরকারি দিশায় তার হদিস থাকছে না। 
প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং গবেষণায় বেসরকারি ক্ষেত্র টাকা ঢালছে না। এই অভিযোগ পুরনো। কিন্তু অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে ফের তোলা হয়েছে সেই প্রসঙ্গ। নাগেশ্বরণ বলছেন, প্রায় ৫১ শতাংশ বিনিয়োগ করে সরকারই। পুরো বেসরকারি ক্ষেত্র ৪০ শতাংশের মতো বিনিয়োগ করে। বেসরকারি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মাত্র ৯ শতাংশ বিনিয়োগ করে।
কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কাজের পরিবেশ এবং কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, বলেছেন নাগেশ্বরণ। 
উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনের ঠিক মুখেই ফের বিহুজাতি সুজুকির মানেসর কারখানায় অস্থায়ী শ্রমিকদের ইউনিয়ন গড়তে বাধা দেওবা হচ্ছে। সংবিধানে সংগঠিত ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থাকলেও বিদেশি বহুজাতিক সংস্থার হয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ধরে জেলে পুরেছে হরিয়ানার বিজেপি সরকারই। 
এর আগে চেন্নাইয়ে বহুজাতিক স্যামসাঙের কারখানায় ইউনিয়নের স্বীকৃতির জন্য লড়াই করতে হয়েছে শ্রমিকদের। 
কেন্দ্রের চার শ্রম কোড আইন শ্রমিক সুরক্ষায় বড় বিপদ বলেছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। অর্থনৈতিক সমীক্ষার পরমার্শ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদৌ মানছে কিনা, তা নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন।

Comments :0

Login to leave a comment