অনির্বাণ দে
ধান হোক বা পাট। চাষে কমছে লাভ। কৃষকের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে নজর নেই সরকারের। মূল্যবৃদ্ধিতে অতিষ্ঠ সকলে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদে সিপিআই(এম) প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের প্রচারে উঠে এল এই প্রসঙ্গই। এদিন সেলিমের সঙ্গে ছিলেন সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস নেতারা।
শুক্রবার মুর্শিদাবাদের নাকুড়লতা সবজি বাজার থেকে শুরু হয় প্রচার। পাইকারি বাজারের সবজি বিক্রেতেরা জানিয়েছেন, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ভুল অর্থনীতির কারণে মার খাচ্ছে সবজি ব্যবসা। পুলিশের হেনস্থা নিয়েও সরব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষক থেকে সবজি ব্যবসায়ীদের নিয়ে কী ভাবছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস?
ব্যবসায়ীদের হাতেকলমে অভিজ্ঞতা হয়েছে অভিষেক ব্যানার্জির কর্মসূচির সময়। সকাল থেকে রাস্তা আটকে রেখেছিল পুলিশ। ঘন্টার পর ঘন্টা নাকুড়তলাতেই আটকে ছিল সবজি, আমের ট্রাক।
নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সব সবজি। বারবার অনুরোধেও গাড়ি ছাড়েনি পুলিশ। সেবার রাস্তায় সবজি, আম ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছিলেন কৃষক, ব্যবসায়ীরা।
সেই তৃণমূলকে আর সবজি চাষীদের কথা বলে লাভ নেই। সাফ জানিয়েছেন স্থানীয় চাষী থেকে ছোট ব্যবসায়ীরা।
এই বছর আলু চাষে ক্ষতির কথাও তাঁরা জানান সেলিমকে। কৃষক, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মহম্মদ সেলিম বলেছেন, নোটবন্দি, জিএসটি থেকে পরিবহণ আইন- ছোট ব্যবসায়ীদের সর্বনাশের পথে হাঁটছে সরকার। কেন্দ্রের সরকার কৃষির সাথে যুক্ত ব্যবসাকেও আদানি, আম্বানিদের হাতে তুলে দিতে চায়। অন্যদিকে রাজ্যের সরকার কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দামের ব্যবস্থা করছে না।
সেখান থেকে কাপাসডাঙ্গা এলাকার দুবড়াখালী ঘাট, হাসনাবাদ, শশীধরপুর, রামদাদপুর, চারা বটতলা এলাকায় প্রচার সারেন মহম্মদ সেলিম।
সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের প্রসাদপুর এলাকা এবং মুর্শিদাবাদ শহরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন সেলিম। দিশাহীন রাজ্য সরকারের পর্যটন নীতি। দুপুরেও মহম্মদ সেলিমের কাছে পর্যটন শিল্পের বিকাশের দাবি তুলে ধরেন স্থানীয়রা।
বিপুল ঐতিহ্য নিয়েও ধুঁকছে মুর্শিদাবাদের পর্যটন শিল্প। কোভিডের সময় টাঙ্গা চালক থেকে ব্যবসায়ী, কারও কথায় ভাবেনি সরকার। রক্তের সংকট মেটাতে বিশাল রক্তদান শিবির থেকে স্বাস্থ্য শিবির, বিকল্প রেশন ব্যবস্থা চালিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সিআইটিইউ, সিপিআই(এম) কর্মীরা। প্রচারে আসছে সেই প্রসঙ্গও।
Comments :0