কাজের সুরক্ষা থাকবে না। ৬-৮ মাস কাজ করিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হবে বাইরে। গুরগাঁওয়ে এমন অন্যায়ের প্রতিবাদে লড়ে যাচ্ছেন দেশের একনম্বর গাড়ি কারখানার শ্রমিকরা। শুক্রবারও বিক্ষোভের সময় ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ।
গুরগাঁয়ের মানেসরে মারুতি সুজুকির কারখানার শ্রমিকরা ফের আন্দোলনে। বিক্ষোভ অবস্থানের ডাক দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের ওপর লাঠি চালায় পুলিশ। শ্রমিকদের ইউনিয়ন জনিয়েছে মহিলা এবং বৃদ্ধদের ওপরও বেপরোয়া লাঠি চালিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের পুলিশ। অথচ মানেসরে তাঁরা বিক্ষোভ করেছেন আদালতের অনুমতি নিয়ে। অস্থায়ী কর্মী ইউনিয়নের স্বীকৃতিরও দাবি করছেন শ্রমিকরা।
শুক্রবার সকালেও আন্দোলনরত শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চলছে ব্যাপক দমনপীড়ন। মারুতি সুজুকি স্ট্রাইক কমিটির পক্ষে খুশিরাম বলেছেন, ‘‘পুলিশ দমন চালাবে। কিন্তু আমরা লড়ছি অধিকারের জন্য। ছাঁটাই করা হচ্ছে যখন-তখন। অস্থায়ী কর্মীদের ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমরা বিক্ষোভ দেখাব। পুলিশ আটক করতে পারে। কিন্তু একজোটে আন্দোলনের মুখে বেশিদিন আটকে রাখতে পারবে না।
পুলিশের গাড়িতে উঠে একেবারে নিম্ন আয়ের এই শ্রমিকরা স্লোগান তুলেছেন ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘জয় হিন্দ’।
আইআইটি পাশ যুবকদের প্রশিক্ষণরত করে রেখে দেওয়ার অভিযোগ অনেকদিনের এমন একাধিক বহুজাতিকের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারও ‘অ্যাপ্রেনটিশশিপ আইনে’ এই বেনিয়মকে বৈধ করেছে। শ্রমিকরা বলছেন, চাকরি পাকা করার সময় এলেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-ধর্মঘটে নামা ছাড়া উপায় নেই।
৩০ জানুয়ারি পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে আন্দোলনরত শ্রমিক কর্মচারীদের ওপর।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলছেন, নির্লজ্জ হওয়ারও মাত্রা থাকে। হরিয়ানার পুলিশের লাজলজ্জা বলে কিছু নেই। যেভাবে মহিলাদের পিটিয়েছে তাকে নিন্দার কোনও ভাষা নেই।
মারুতি সুজুকিতে বেড়ে চলেছে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা। শুক্রবারই সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রিপোর্টে কাজের সুরক্ষা, কাজের পরিবেশে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে বাজারে চাহিদার সঙ্কটের জন্য এই শ্রমনীতিও দায়ী। তবে সব দায়ই চাপানো হয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রের ওপর।
মানেসরে আন্দোলনরত শ্রমিকরা বলছেন, রাজ্যের বিজেপি সরকারের মদত না থাকলে এই অত্যাচার চলত না।
Maruti Suzuki Workers
মারুতি কারখানার লড়াকু শ্রমিকদের ওপর লাঠি, ধরপাকড় পুলিশের
×
Comments :0