কলকাতার ৭ জায়গা থেকে মিছিল করে শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, বস্তিবাসীরা যোগ দিচ্ছেন ব্রিগেড সমাবেশে। রবিবার ব্রিগেডে আসছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মেহনতী। কেবল উত্তরবঙ্গের জমায়েতই এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এদিন কলকাতায় শ্রমিক ভবনে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করছেন সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষকসভা, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গ বস্তি উন্নয়ন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
কাজ নেই গ্রামে বা শহরে। রাজ্যে মারাত্মক দুর্নীতির ফল গরিব মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। চলছে বস্তি উচ্ছেদ। কেড়ে নেওয়া হচছে কৃষিজীবীর পাট্টা। শ্রম কোড এনে শ্রমিককে পরিণত করা হচ্ছে দাসে।
কেন্দ্রের বিজেপি আর রাজ্যের তৃণমূল- দুই সরকারের নীতির প্রতিবাদে ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাজ্যের সব জায়গা থেকে আসছেন শ্রমজীবী, কৃষিজীবীরা। প্রান্তিক বস্তিবাসী মানুষ আসছেন সমাবেশে।
কর্মহীনতা আর মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কট মারাত্মক। এই সময়েই শ্রমকোড চালু করে শ্রমিককে কার্যত দাসে পরিণত করতে চাইছে দেশের সরকার। তার বিরুদ্ধে প্রচার চলছে গ্রামে এবং শহরে। প্রচার সভায় যোগ দিচ্ছেন জনতা।
নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ২০ মে সর্বভারতীয় ধর্মঘটের সমর্থনেও চলছে প্রচার। ব্রিগেড সমাবেশ থেকেও ডাক দেওয়া হচ্ছে ধর্মঘট সফল করার।
নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগ দেবেন ব্রিগেড সমাবেশ। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে কৃষকসভার কর্মীরা এদিনই ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন।
কৃষকসভা, এবিটিএ, সিআইটিইউ’র দপ্তরগুলিতে দূর জেলার মহিলাদের থাকার বিশেষ ব্যবস্থা হয়েছে। রামলীলা ময়দানে কেন্দ্রীয়ভাবে দূরের জেলা থেকে আগতদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন সিআইটিইউ রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু, রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখার্জি, সারা ভারত কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার, খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার, রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ, বস্তি উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সম্পাদক সুখরঞ্জন দে এবং সংগঠনের অন্যতম নেতা দেবাশিস চক্রবর্তী।
Brigade 20 April
ব্রিগেডের প্রস্তুতি তুঙ্গে, শুধু উত্তরবঙ্গের জমায়েতই লক্ষ ছাড়াবে

×
Comments :0