দীপশুভ্র সান্যাল
রাজ্যে চোরের সরকার চলছে. আর এই চুরির ফল ভোগ করছেন গ্রামের গরিব মানুষ। একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা, চা শ্রমিকদের মিলছে না ন্যায্য মজুরি, যুবদের হাতে কাজ নেই, স্কুল কলেজে নৈরাজ্য, মন্ত্রীরা জেলে। চোরের সরকারকে যোগ্য জবাব দিতে ‘ইনসাফ যাত্রা’ করে কর্মসংস্থানের দাবি তুলবে ডিওয়াইএফআই।
‘ইনসাফ যাত্রা’-র প্রচারে জলপাইগুড়িতে এই প্রচার করছে ডিওয়াইএফআই। ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে ‘ইনসাফ যাত্রা’ ৪ তারিখ আলিপুরদুয়ার জেলা ঘুরে ৫ নভেম্বর পৌঁছবে জলপাইগুড়ি।
জেলায় জেলার চা বাগান, জঙ্গল, পাহাড়ি পথ ঘুরে কৃষি এলাকা পেরিয়ে ৬ নভেম্বর পৌঁছবে দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত টানা দু'মাস ধরে ‘ইনসাফ যাত্রা’ করে ব্রিগেড সমাবেশে পৌঁছবেন সংগঠনের সদস্যরা।
জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ইনসাফ যাত্রা ও ব্রিগেড সমাবেশের সেওয়াল লেখা, পোস্টারিং করেছে জলপাইগুড়ি শহর লোকাল কমিটির কর্মীবাহিনী। বাড়ি বাড়ি প্রচার চলছে। বাজারে বাজারে প্রচার ও অর্থ সংগ্রহ, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগানোর পাশাপাশি সারা শহর সংগঠনের পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচার। জলপাইগুড়ি জেলা থেকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অংশ নেবেন যুব নেতা বেদব্রত ঘোষ।
ডিওয়াইফাই জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য ও শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক দেবব্রত ভৌমিক বলেন, সব বুথে প্রচার চলবে। কর্মসংস্থানের দাবি তুলবে যুবরা। সভাপতি দেবরাজ বর্মন জানান ইনসাফ যাত্রা জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে পৌঁছবে ৪ নভেম্বর রাতে। ৫ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট থেকে যাত্রা শুরু হয়ে ধূপগুড়ি ময়নাগুড়ি হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাতে পৌঁছাবে জলপাইগুড়ি।
(শিক্ষাও কাজের দাবিতে ইনসাফ যাত্রার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে জলপাইগুড়িতে। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত)
Comments :0