তপন বিশ্বাস,ইসলামপুর
‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ বা ‘মিশন নির্মল বাংলা’ ঢাক ঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হলেও বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে থার্মোকলের থালা, বাটি, ডিমের খোলার মতো বর্জ্য। ইসলামপুরে মহকুমায় ওই সব রাস্তার ধারে খাবারের স্টল হয়েছিল। কিন্তু উচ্ছিষ্ট বা বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা হয়নি।
ডালখোলা, ইসলামপুর কানকি, পাঞ্জিপাড়া, টুঙ্গিদিঘি, চাকুলিয়া, সূর্যাপুরের মত রাস্তা কবে পরিস্কার হবে তা নিয়ে এলাকাবাসী চিন্তিত।
স্থানীয় বাসিন্দা রমেন আনন্দ মোহন সিংহ , বিভাস বিশ্বাসদের ক্ষোভ, "জেলার বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। শহর ঘেঁষা গ্রামীণ এলাকাগুলোতে এখন শহরের ছোঁয়া। বসতবাড়ি, বাজার ঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। অথচ পরিবেশ রক্ষা নিয়ে সরকারের তেমন উদ্যোগ নেই। পঞ্চায়েতও সে উদ্যোগ নিতে পারে।"
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাঞ্জিপাড়া, কানকি, চাকুলিয়ায় বাড়ির বর্জ্য ফেলা হয় রাস্তার ধারে বা পুকুর পাড়ে। ফলে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দারে পথচারীদের।
সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে, জেলার ৯৮টি পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বর্জ্য ফেলা এবং তা পুনর্ব্যবহার প্রকল্প গড়া হয়েছে। বাকিগুলিতে তা না থাকায় রাস্তাই যেন 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড'। কিন্তু পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কর্তারা জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগেই প্রতিটি পঞ্চায়েতে একটি করে 'ডাম্পিং গ্রাউন্ড' তৈরির কথা বলা হয়। সেই খাতে টাকাও বরাদ্দ হয়। কিন্তু পঞ্চায়েতগুলি এ ব্যাপারে উৎসাহী নয়।
স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্প ও পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ব্যয় করে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প তৈরির করা হওয়ার কথা। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক আব্দুল শাহিদ বলেন,"রাস্তার ধারে ফেলে রাখা বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সব পঞ্চায়েতকে।"
Comments :0