WPI JULY

জুলাইয়ে সবজির দাম বেড়েছে ৬২.১২ শতাংশ!

জাতীয়

WPI JULY

আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এবার খাদ্যদ্রব্যের দাম ৭.৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এ বছরেরই জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ৭.১৩ শতাংশ বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। সবজির দাম বৃদ্ধির হার ৬২.১২ শতাংশ।

চড়া হারে মূল্যবৃদ্ধির এই তথ্য স্বীকার করেছে কেন্দ্রই। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। সব দ্রব্যের দাম বিচার করলে যদিো, কেন্দ্রের হিসেবে, পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ১.৩৬ শতাংশ কমেছে গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায়। খনিজ তেল, মূল ধাতব দ্রব্য, রাসায়নি এবং রাসায়নিক পণ্যের মতো শিল্পে ব্যবহার্য দ্রব্যের দাম কমেছে এই সময়ে। তার জন্যই পাইকারি মূল্য সূচকে হ্রাসের ইঙ্গিত বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। 

মে’তে ০.৬৩ শতাংশ এবং জুনে ১.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল মূল্য সূচক। তার কারণ যদিও বাস্তবে বাজারে স্বস্তিদায়ক দামস্তর নয়। তুলনা করা হয়েছিল যেহেতু গত বছরের চড়া দামস্তরের সঙ্গে এবার তাই খানিক হ্রাসের অঙ্ক মিলেছিল হিসেবে। কিন্তু জুলাইয়ে তা-ও মিলছে না। 

খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে সবচেয়ে চড়া সবজির দামের বৃদ্ধি। জুনেই দেখা গিয়েছিল সবজির বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ১৮.৪৬ শতাংশ। জুলাইয়ে তা লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ৬২.১২ শতাংশ। 

এই হিসেব পাইকারি বাজারের, যে বাজার থেকে ব্যবসায়ী মালপত্র কিনে খুচরো বাজারে আমজনতাকে বিক্রি করেন। তবে পাইকারি মূল্য সূচকে বহুবিধ দ্রব্য গণনার মধ্যে রাখা হয়। ফলে বাস্তবতার কাছাকাছি আসার সুযোগ থাকে সমীক্ষার ফলাফলের।

সাধারণ মূল্যবৃদ্ধি বা ‘হেডলাইন ইনফ্লেশন’ কমার ইঙ্গিত দিলেও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে চিন্তায় অর্থনীতিবিদরা। গত সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের নীতি ঘোষণার সময়ও মূল্যবৃদ্ধির হার বিবেচনায় রেখেই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখে। তবে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ কতটা কার্যকর পন্থা, বিশেষত ভারতের মতো ঘাটতি অর্থনীতির দেশে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিভিন্ন অংশেই। 

খাদ্যের চড়া দাম মানে নিম্নবিত্ত এবং গরিব মানুষের পুষ্টির সঙ্গে আপস। এই অংশের আয়ের প্রায় পঁচাত্তর শতাংশই খাদ্যের মতো জরুরি উপকরণে খরচ হয়। ফলে শিল্পপণ্য কেনার চাহিদা কমতে থাকে। অর্থনীতিতে তার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী।  

Comments :0

Login to leave a comment