চিন্ময় কর- ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআই(এম) প্রার্থী সোনামণি মুর্মু টুডুর সমর্থনে রবিবার সকাল থেক দুপুর জাম্বনি, গিধনী এলাকার একাধিক মৌজায় এবং বিকালে ঝাড়গ্রাম শহরে তিনটি ওয়ার্ডে পদযাত্রা সহকারে প্রচার মিছিল হয়। প্রচারে আদিবাসী এলাকায় মহিলাদের অংশগ্রহণ নজর কাড়ে। প্রচার মিছিলের সাথে একাধিক জায়গায় সংগঠিত হয় প্রচারসভা। বক্তব্য রাখেন প্রার্থী সহ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, রাজ্য কমিটির সদস্য পুলিনবিহারী বাস্কে ও জেলা সম্পাদক প্রদীপ সরকার সহ শ্রমিক নেতা পার্থ যাদব।
জঙ্গলের অধিকার, জলাভূমির অধিকার কেড়ে নিয়ে উচ্ছেদ করার চক্রান্তকারী, কর্পোরেটের স্বার্থ রক্ষার দালাল দেশ ও রাজ্যের দুই শাসক দল বিজেপি ও তৃণমূলকে হটাতে না পারলে ওরা আরও বেপরোয়া হয়ে লুটে খাবে। তাই সময় এসেছে বিজেপিকে রুখে, তৃণমূলকে উৎখাত করার। এমন জেহাদ ঘোষণা করে প্রচার মিছিল শুরু হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন জঙ্গল মহল জুড়ে রুটি রুজি সঙ্কট তখন জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে তৃণমূল সরকার। আর সেই জঙ্গলের রসদ লরি-লরি তুলসী, বাসব, সিঙ্কোনা ভেষজ গাছ কেন্দুপাতা সহ বাবুই ঘাস ফড়েরা লুট করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। তৃণমূল ও বিজেপি দুই দল সহ প্রশাসনের একটা অংশের পকেট ভরাট ভর্তি হচ্ছে। আর জঙ্গল ও জলাভূমির অধিকার কাড়ার ফলে ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছে সঙ্কট। তার ফলে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে এলাকা ছেড়েছেন ২৯ হাজারের বেশি মানুষ। পানীয় জলের সঙ্কট মোকাবিলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল- বিজেপি। মোদীর ১০ বছরের প্রথম ৫ বছর তৃণমূলের এমপি উমা সরেন, পরের পাঁচ বছর বিজেপির কুনার হেমব্রম কি করেছে হিসাব বুঝে নেওয়ার দিন আসছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জঙ্গমহল এলাকার অনগ্রসর জনজাতির শিক্ষা সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাসস্থান পানীয় জল স্বাস্থ্যর পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ২০১১ সালে ইউপিএ সরকারের বরাদ্দ হও ৮০০০ কোটি টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে লুটেছে তৃণমূল ও বিজেপি। তাই তৃণমূলের লুটের বিরুদ্ধে বিজেপি নীরব। মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তৃণমূল কি উন্নয়ন করেছে আর তার হিসাব কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কি নিয়েছে তার কৈফিয়ত চাইবে এই নির্বাচন।
Comments :0