DARJEELING RALLY

নকশালবাড়িতে মিছিল বাম-কংগ্রেসের, ফাটা রেকর্ড বাজালেন রাজনাথ, শাহ

রাজ্য জেলা লোকসভা ২০২৪

দার্জিলিঙের প্রার্থী মুনীশ তামাঙের সমর্থনে নকশালবাড়িতে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের মিছিল রবিবার। ছবি: রাজু ভট্টাচার্য

অনিন্দিতা দত্ত

রবিবার নকশালবাড়িতে দার্জিলিঙ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মুনীশ তামাঙয়ের সমর্থনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিল হয়েছে। মিছিলে পথ হেঁটেছে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য জীবেশ সরকার, দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক সহ নেতৃবৃন্দ। 
পাহাড়কে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের স্বীকৃতির দাবি তুলে প্রচারে নেমেছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। সাড়া দিচ্ছে জনতা। দেশকে রক্ষা করা, সংবিধানকে রক্ষা করার স্লোগান উঠছে প্রচারে। বিজেপি-কে পরাজিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে মিছিলে। স্লোগান উঠছে দুষ্কৃতী-দুর্নীতি চক্রের মদতদাতা তৃণমূলকে হারানোরও।  
রবিবারই শিলিগুড়িতে ভোটের প্রচারে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন,  
‘‘পশ্চিমবাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। বাংলায় সরকার বলে কিছু নেই। সন্দেশখালির ঘটনা তার প্রমাণ।’’ 
এদিন বিকেলে শিলিগুড়ির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিকিয়াপাড়া ময়দানে বিজেপি’র সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মা বোনেদের কোন সুরক্ষা নেই। বাংলার বিভিন্ন জনজাতির মানুষ নিপীড়িত ও দুঃখী। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি না দিয়ে, উল্টে অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে সরকার।’’ 
তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের জন্য বাংলার গরিব সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলায় করতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার। কেন্দ্র থেকে পাঠানো অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করছে না রাজ্য। প্রধানমন্ত্রীর জনকল্যাণ প্রকল্পগুলি পশ্চিমবাংলায় লাগু করতে দিচ্ছে না মমতার সরকার।’’ অন্যদিকে দার্জিলিঙের লেবঙে গোর্খা সভায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও যাননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। খারাপ আবহাওয়ার দরুন আমিত শাহের হেলিকপ্টার নামতে পারেনি। 
ফোন বার্তায় পাহাড়বাশীকে শাহ বলেন, ‘‘দার্জিলিং পাহাড়ে পৌঁছাতে না পারার জন্য তিনি দুঃখিত। দার্জিলিং পাহাড় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব একমাত্র বিজেপি’র পক্ষেই।’’ 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এমন বক্তব্য খারিজ করেছে বামফ্রন্ট। বামফ্রন্ট বারবারই বলছে যে বিজেপি সন্দেশখালি নিয়ে দুঃখ করছে। অথচ গুজরাটে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের জেল থেকে ছাড়িয়ে এনে মালা পরিয়েছে। উন্নাও থেকে হাথরস- অপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছে। আর দার্জিলিঙের জন্য বিজেপি’র সাংসদরা নির্বাচিত হয়েও কাজ করেননি। তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলেরই আসল চেহারা বুঝে ফেলেছেন মানুষ।

Comments :0

Login to leave a comment