বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী মিলটন রশিদের সমর্থনে মহামিছিল হয় রবিবার সকালে রামপুরহাট শহরে। রামপুরহাট বিধানসভা এলাকার শ্রমিক কৃষক সহ সাধারণ মানুষ এদিন মিছিলে যোগ দিতে জমায়েত হন রামপুরহাট ডাকবাংলা মোড়ে। সেখানে প্রার্থী মিলটন রশিদকে কাছে পেয়ে শহরের পৌরসভার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরলেন শহরের বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করে জানান, রামপুরহাট শহরে পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। রামপুরহাট ইরিগেশন কলোনির খেলার মাঠকে ধংস করে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বহুতল তৈরী, বাম আমলে প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ রামচন্দ্র ডোমের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় নির্মীত শহরের একমাত্র অডিটরিয়াম রক্তকরবী মঞ্চ উন্নয়নের নামে গত আট বছর ধরে তালা বন্ধ রেখেছে তৃণমূলীরা। উন্নয়নের নামে তৃণমূল ১৩ বছর ধরে শুধু লুট করে গেছে। এর জবাব এবার ভোটেই পাবেই।
রামপুরহাট মাসড়া, কাষ্টগড়া, খরুন, আয়স ও নারায়নপুর অঞ্চল ও মহম্মদবাজার ব্লকের দেউচা পাঁচামী এলাকার মানুষের অভিযোগ, তৃণমূল অবৈধ ডিসিআর গেট বসিয়ে পাথরের গাড়ি থেকে দেদার টাকা লুটেছে। উন্নয়নের নামে একশো দিনের গরিব মানুষের কাজের টাকা লুটেছে। আবাস যোজনার ঘর দিয়ে কাটমানি খেয়েছে। তৃণমূলের বড় মেজ ছোট এবং উপর মহলের নেতারা আঙ্গুল ফুলে সব কলাগাছ হয়েছে। প্রচারে গিয়ে তিন বারের সাংসদ এবং এবারের প্রার্থী শতাব্দী রায় মানুষের অভিযোগের মুখে পড়ছেন।
সমস্ত অভিযোগ শুনে মিলটন রশিদ বলেন, ওদের উন্নয়ন তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। ওদের বিরোধীতা করলে গাঁজার কেস দেয় বিরোধীদের। সেই তৃণমূলের কাছে উন্নয়েনের আশা করেন? ওদের নেতা মন্ত্রীরা বালি, পাথর, গরু, বেকারের চাকরি, রেশনের চাল লুটে সব জেল খাটছে।
আর এদিকে ১০ বছর ধরে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থেকে জাতপাতের রাজনীতির আড়ালে দেশটাই বিক্রি করে দিয়েছে। এই বিজেপি ও তৃণমূল দুটো দলই দুর্নীতি গ্রস্থ। এদের হাঠাতে হবে দেশ থেকে। এবার সুযোগ আছে এদের পরাস্থ করে বিকল্প সরকার গড়ে তোলার।
এদিন বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও। তৃণমূল তাড়াও বাংলা বাঁচাও এই দাবিতে সোচ্চার হয়ে মিছিল শুরু হয় রামপুরহাট ডাকবাংলা মোড় থেকে। মিছিলের পুরো ভাগে ছিলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরোর সদস্য ডাঃ রামচন্দ্র ডোম, প্রার্থী মিলটন রশিদ, সঞ্জীব বর্মণ ও সঞ্জীব মল্লিক সহ জেলা বাম ও কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। সারা শহর মিছিল পরিক্রমা করে শেষ হয় রামপুহাট ভাঁড়শালা মোড়ে। সেখানে মিলটন রশিদ তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দী রায়ের উপর নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে বলেন, রবিবার তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে রামপুরহাটে একটি সভা করেন তিনি। আমরা এখন সবাই নির্বাচনী আচরন বিধির আওতায়। শিক্ষকরা সবাই নির্বাচনী কর্মী। তাঁরা এখন নির্বাচন কমিশনের লোক। তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে শিক্ষকদের সভা করতে পারেন কি করে? আমি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ করবো নির্বাচন কমিশনকে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যে দল শিক্ষকদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারেনা, চাকরি দিতে গিয়ে ঘুষ খায়। সেই দল কোন লজ্বায় মানুষের কাছে ভোট চাই? দেশের শ্রমজীবি মানুষের স্বার্থে, দেশের সংবিধান গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ রক্ষার স্বার্থে হাত চিহ্নে ভোট দিয়ে তাদের পরাস্ত করে একটি বিকল্প সরকার গড়ে তুলুন।
Comments :0