উৎপল মজুমদার
অঝোরে বৃষ্টির পরও জমেছে জল। বৃষ্টি কমলেও জল সরছে না। মালদহ শহরের প্রায় সর্বত্র জমা জল পেরিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। নাজেহাল হচ্ছেন নাগরিকরা। কেবল শহর নয়, প্রবল বর্ষণে মালদহ জেলার বহু অঞ্চলই বিপর্যস্ত।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস ছিল যে বুধবার সারা রাত বৃষ্টি হবে। হলোও তাই। তার জেরে কেবল মালদহ শহর নয়, গোটা জেলাই বিপর্যস্ত হলো। মালদহ শহরের অধিকাংশ নিচু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় নিয়ন্ত্রিত বাজার মালদহ জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজার চত্বর, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, গৌড়কন্যা বাসষ্ট্যান্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে শহরের বিভিন্ন নিচু এলাকা যা পৌরসভা এলাকার অন্তর্গত।
নেতাজী পৌর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। দোকানদার, সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতারা যেমন সংকটে পড়ে তেমনি রিক্সা, টোটো-অটোচালকরাও সমস্যায় পড়েছেন। শহর ও সংলগ্ন এলাকায় নিকাশী ব্যবস্থা না থাকায় জল নামতে চায় না। তার ওপর আবর্জনা জমে ভাগাড়ের চেহারা নেয় বিভিন্ন অঞ্চল। জলে পচে আবর্জনা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এ সব এলাকায়।
নিয়ন্ত্রিত বাজার ইউনিয়নের নেতা অনুপম গুণ বলেন, ‘‘পৌর এলাকা হলেও তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পৌরসভা কার্যত উদাসীন। বার বার বলা হলেও পৌরসভা সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এতপর শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।’’
সিপিআই(এম) ইংরেজবাজার শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক তুষার গোস্বামী বলেছেন, ‘‘শহরের বিভিন্ন এলাকা ও পৌর বাজারগুলি সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আর এর জন্য দায়ী পৌরসভা। সারা বছর এইসব সমস্যা সমাধানে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না।’’
এই বৃষ্টিতে গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। চাষের জমি যেমন জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পুকুরের মাছ ভেসে যাচ্ছে। সবজি ও মাছের দামও অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে। সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। মালদহ জেলার বিভিন্ন নদী, মহানন্দা, ফুলহর, টাঙ্গন ও পুনর্ভবার জল বেড়ে যাওয়ায় নদী সংলগ্ন এলাকায় যেসব মানুষ বাস করেন তাদের ঘরে জল ঢুকে পড়ছে।
Comments :0