BUSINESS SUMMT BENGAL

মমতার কর্মসংস্থানের দাবি, পরিযায়ীর স্রোতে প্রশ্ন সেলিমের

রাজ্য কলকাতা

বেঙ্গল গ্লোবার বিজনেস সামিটের গোড়ার দিন।

দেশে কর্মসংস্থান ৪০ শতাংশ কমেছে, পশ্চিমবঙ্গে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। কেবল স্কুলের পোশাক তৈরির কাজে মহিলাদের ৮ কোটি কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছে। 

শিল্প সম্মেলনে বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তৃতায় এমনই তথ্য দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ বছরের শিল্প সম্মেলন ‘বিজিবিএস ২০২৩’ থেকে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। ১০৮৮টি বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়েছে। 

এদিনই সংবাদমাধ্যমে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘একের পর এক পুরুষশূন্য। গ্রামের যুবকরা অন্য রাজ্যে দলে দলে চলে যাচ্ছেন কাজের খোঁজে। পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে চলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন রাজ্যে একটির পর একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে বাংলার শ্রমিকদের। গ্রামে ফিরছে কফিন। মুখ্যমন্ত্রী যা-ই ঘোষণা করুন, এটিই বাস্তবতা।’’ 

মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সমবায়ে মহিলাদের দিয়ে কাজ হচ্ছে। করোনার সময় কাজ ছিল না। স্কুলের পোশাক তৈরির কাজ করিয়ে ৮ কোটি শ্রমদিবস তৈরি করা গিয়েছিল।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘ক্যাশলেস ইকনমি ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে। ক্যাশলেস ইকনমি বা ডিজিটাইজেশন দরকার। কিন্তু ক্যাশলেস ইকনমি কর্মসংস্থার তৈরি করতে পারে না।’’ 

ক্ষুদ্র শিল্পের বিনিয়োগকারীদেরও ব্র্যান্ড তৈরিতে উৎসাহী হতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোর দিয়েছেন রাস্তার ধারে ছোট চায়ের দোকান, খাবারের দোকান খোলায়। এমন দোকান থেকে রোজগারের সুযোগকে খাটো না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তৃতা যদিও এদিনই প্রথম নয়। কিন্তু বিভিন্ন সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে কাজের সুযোগ এবং সংগঠিত ক্ষেত্রে রোজগারের সুযোগ নিয়মিত কমতে থাকায় স্বনিযুক্তিতে বাধ্য হতে হচ্ছে বড় অংশকে। 

সেলিম বলেছেন, ‘‘নির্দিষ্ট বেতন রয়েছে এবং সুরক্ষিত, এমন কর্মসংস্থান কোথায়। সরকারি, বেসরকারি সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হচ্ছে। কেন্দ্রের সরকার যেমন রেল, ব্যাঙ্ক পোস্ট অফিসে স্থায়ী পদ তুলে দিচ্ছে। রাজ্যের সরকারও স্থায়ী পদে নিয়োগ করছে না।’’ তাঁর দাবি, ২০১১ থেকে বছর ধরে কত বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, কত বিনিয়োগ বাস্তবে হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক রাজ্য। সেলিম বলেছেন, ‘‘সিঙ্গুরেই তো নানারকম হাব তৈরির ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় হয়েছে?’’ 

কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের শিল্প ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বিকাশ বিভাগের তথ্য যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে সমর্থন করছে না। ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানাচ্ছে, ১৯৯২ থেকে ২০১০ পর্বে, রাজ্যে আসীন বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে, বিনিয়োগে রাজ্যগুলির মধ্যে তিন নম্বরে উঠে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল সরকারের সময়ে ২০১১ থেকে ২০২২, পশ্চিমবঙ্গ এখন রাজ্যগুলির মধ্যে বিনিয়োগের তুলনামূলক বিচারে ১৩ নম্বরে। 

Comments :0

Login to leave a comment