পুনর্বাসন ছাড়া কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় আইনেই এই সংস্থান রয়েছে। সব হকারকে পরিচিত পত্রও দিতে হবে। জলপাইগুড়ি পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে এই দাবি তুলেছেন হকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
জলপাইগুড়িতে হকার উচ্ছেদে নেমেছে জলপাইগুড়ি পৌরসভা। রাস্তায় বাইক দাঁড় করালেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দাবি উঠেছে, শহরে ‘পার্কিং জোন’ আগে চিহ্নিত করুক পৌরসভা।
সোমবার জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া মোড়ে আয়োজিত সভায় এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন হকাররা। ৩১ মে হকারদের আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানিয়ে পৌরসভায় স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। জলপাইগুড়ি জেলা স্ট্রিট ভেন্ডর্স ও হকার ইউনিয়ন এই সভা করেছে।
২০১৪’র পথ হকার সুরক্ষা ও জীবিকা সংক্রান্ত আইন পাশ হয় সংসদে। আইনে ‘টাউন ভেন্ডিং কমিটি’ গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। এই কমিটিতে ৪০ শতাংশ হকার প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার কেন্দ্রীয় আইন মেনে চলছে না, এই অভিযোগ বিভিন্ন সময়েই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে তুলেছেন হকার আন্দোলনের কর্মীরা।
সোমবার জলপাইগুড়ির সভায় অংশ নেন শ্রমিক নেতা শুভাশিস সরকার, কান্তি রাহা, কৃষ্ণ সেন, দুলাল রায়, হকার সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন নিয়োগী। এছাড়াও সমাজের অন্যান্য অংশের মানুষও উপস্থিত ছিলেন।
Comments :0